বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কিছু না বললেও দেশের বিরোধী দলগুলি তো বটেই, গোটা বিশ্বের বিশেষ করে প্রতিবেশী পাকিস্তান পাগল হয়ে যায় । অথচ চীনের জিনজিয়াংয়ে বসবাসরত লাখ লাখ মুসলমান সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করে আসছে বেইজিং। অবাক করার বিষয় হলেও, এটাই বাস্তব, এই বিষয়ে  নীরব মুসলিম দেশগুলি। এর নেপথ্য কারন কি ?

একজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ সাংবাদিক মন্তব্য করেছিলেন, “মুসলমান দেশগুলো শুধু নিজেদের স্বার্থেই ‘মুসলিম ঐক্যের’ ধারণাটি ব্যবহার করে। তাহলে চীনের ক্ষেত্রে মুসলমান দেশগুলো শুধু নিজেদের স্বার্থেই নীরব থাকছে ? প্রশ্নটা থেকেই যায় । দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের নীরবে নিপীড়িত হওয়ার প্রধান কারণ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ যে দেশগুলো রুশদি, জিল্যান্ডস পোস্টেন এবং চার্লি হেবদোর বিরুদ্ধে ক্রোধে ফেটে পড়েছে, ঠিক সেই দেশগুলি চীনের ক্ষেত্রে  নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে কি ‘মুসলিম ঐক্যের’ ধারণাটি তখনই ব্যবহার করে, যখন নিজেদের স্বার্থে দরকার হয়।’ (দ্য গার্ডিয়ান,  বিশিষ্ট সাংবাদিক কোহেন )

চীনা ক্যাম্পে অত্যাচারিত মুসলিম সম্প্রদায়

বিশিষ্ট সাংবাদিক কোহেন দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে চীনের মুসলিমদের উপর অত্যাচার নিয়ে  লেখেন, ‘জিনজিয়াংয়ে ‘স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ দল পাঠানোর অনুমতি দিতে চীনকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, আলজেরিয়া এবং অন্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো, যারা নিজেদের ইসলামের রক্ষক হিসেবে দাবি করে, তারাই এ পশ্চিমা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তা রুখে দিয়েছিল।’

চীনে মুসলিমদের উপর সেনাবাহিনী নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা হামেশাই ঘটে

তবে সব মুসলিম দেশ যে চুপ করে আছে তা নয়, ইরান মাঝে মধ্যে সমালোচনা করলেও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা চীনের সহায়তা চায় বলে খুব সতর্কতার সঙ্গে নিজেদের অভিযোগ জানায়। ফলে ইরানের পক্ষ থেকে মৃদু প্রতিবাদ হলেও অনেকের কাছে মনে হবে সেটা “কুমিরের কান্না” ছাড়া আর কিছুই নয় । অথচ দেখা যাচ্ছে, চীনে গণহারে মুসলমান নারীদের বন্ধ্যা করে দেওয়ার বিষয়টি তারা মেনে নিয়েছে।চীনের বন্দি শিবিরের প্রতি তাদের চাপা সমর্থন আছে ধরে নেওয়াই যেতে পারে ।

তবে একথা ঠিক, চীন করোনা ছড়ানোর অভিযোগ হোক, কিম্বা মুসলিম নির্যাতন, কোন কিছুর সমালোচনাই শুনতে চায় না । আর সমালোচনা যদি কোন দেশ করে তাহলে সাইবার হামলা এবং নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হয়। তাই সুফল ভোগ করা এবং সাজা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।  চলতি বছর অস্ট্রেলিয়া কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বুঝতে পেরেছে, চীনের বিরুদ্ধে গেলেই কি হবে ?

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.