বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মার্কিন নজরদারী বিমানের দিকে জোড়া মিসাইল ছুঁড়ে হুশিয়ারি দিল চীনের লাল ফৌজ । দক্ষিন চীন সাগরে মার্কিন নজরদারী বিমান লক্ষ্য করে মিসাইল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে । ধারনা করা হচ্ছে আমেরিকাকে কড়া হুশিয়ারি দেবার জন্য চীনের পক্ষ থেকে এটি করা হয়েছে । মিসাইল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিন চীন সাগরে ফের উত্তেজনা বৃদ্ধি হয়েছে ।
আগেই দক্ষিন চীন সাগরে মার্কিন বিমানের টহল নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল চীন । আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত জলরাশিতে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। ফলে ওই অঞ্চলের আকাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ‘নো ফ্লাই জোন’ বা বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।এহেন পরিস্থিতিতে সেখানকার আকাশে মার্কিন নজরদারী বিমান দেখতে পেয়ে মিসাইল ছুঁড়ে হুশিয়ারি দিল চীন ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার ‘নো ফ্লাই’ জোনে প্রবেশ করে একটি মার্কিন U-2 নজরদারি বিমান। ২৪ ঘণ্টা পর চিনা ফৌজের গতিবিধি জানতে একই অঞ্চলে আবার টহল দেয় আমেরিকার একটি RC-135S নজরদারি বিমান। তারপরই, আমেরিকার কাছে কূটনৈতিক স্তরে তীব্র প্রতিবাদ জানায় চিন।প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ওই অঞ্চলে মার্কিন ফৌজকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দুটি অত্যাধুনিক মিসাইল ছুঁড়ে লালফৌজ।
চীন মার্কিন নজরদারী বিমান লক্ষ্য করে যে দুটি আধুনিক মিসাইল ছুঁড়েছে তার একটি হচ্ছে DF-26। এই ব্যালিস্টিক মিসাইল ৪ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। স্থলে ও জলে আণবিক অস্ত্র নিয়েও হামলা চালাতে পারে এই মিসাইলটি। চিনের ছোঁড়া অন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি হচ্ছে, DF-21। এটি ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে পারে। বিশেষ করে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এটিকে তৈরি করেছে লালফৌজ।
গত মাসে দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া চালায় মার্কিন নৌসেনার এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার-USS Nimitz ও USS Ronald Reagan। এদিন চীনের লাল ফৌজ যে দুটি অত্যাধুনিক মিসাইল ছুঁড়েছে, তা দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান এর মাধ্যমে চীন আমেরিকাকে বোঝাতে চাইছে, যদি চীন মনে করে তাহলে মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দিতে পারে । এই কারনেই হাইনান প্রদেশ ও বিতর্কিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি অঞ্চলে মিসাইল দু’টি ছুঁড়েছে চিন।
এদিকে চীনের মিসাইল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিন চীন সাগরে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে । ধারনা করা হচ্ছে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে চীনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে জোড়া মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে । তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ইতিমধ্যেই ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং।এই সাঁড়াশি চাপ থেকে নিজেদের শিথিল করতে চীন এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে ।