বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকা, ইতালি বা ফ্রান্স যে ভুল করেছিল সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সর্বতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে । ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হবার সাথে সাথেই নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন । এমন কি সেই লকডাউন সফল করতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ প্রশাসন । গরীব এবং সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক প্রকল্প । সাথে রয়েছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভারত করোনার সংক্রমণ থেকে আগেভাগে মুক্তি পাবে, এমনই আশাপ্রকাশ করল চিন।পাশাপাশি চীন থেকে দেওয়া হল করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের আশ্বাস ।
রাজধানী দিল্লীতে চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত যে ভাবে করোনার লড়াইয়ে চিনের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বেজিং। এবার ভারতের করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হল । নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ”চিনের সংস্থাগুলি ভারতে অনুদান দিতে শুরু করেছে। ভারত মনে করলে আমরা আরও সাধ্যমতো সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।”
উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় চীন । সেখানে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২৮৭ জনের। আক্রান্ত ৮১ হাজার ২৮৫ জন। এখন সেখানে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে । দেশের মধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না কেউ । গতকালই হুবেই প্রদেশের লকডাউন তুলে নেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ।চীনের সেই দুঃসময়ে যতই মনোমালিন্য থাকুক না কেন, ভারতকে একজন বন্ধু হিসাবে পাশে পেয়েছিল চীন । সেই সময় গ্লাভসসহ ১৫ টন জরুরি মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠিয়েছিল ভারত। চীন সেই সাহায্যের কথা ভোলেনি । অতীতের কথা স্মরণ করে জি রং তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ”ভারত চিনকে মেডিক্যাল সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিল। তা ছাড়া নানা ভাবে ভারতের মানুষও চিনের যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছিল। তার জন্য ভারতবাসীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।”
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বলতে গেলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । ইতালি, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশে শুরু হয়ে গেছে মহামারি । এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে এশিয়া ও ইউরোপের ২১টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছিল চিন। কী ভাবে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে চিন, সেই অভিজ্ঞতার কথা সব দেশের প্রতিনিধিদের জানিয়েছিলেন বেজিংয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে জি রং বলেন, ”আমরা বিশ্বাস করি, ভারতীয়রা এই যুদ্ধে অনেক আগেই জয়লাভ করবে। ভারত ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে চিনও এই মহামারি রুখতে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। জি-২০, ব্রিকসের মতো সম্মেলনের মাধ্যমে করোনার মোকাবিলায় পারস্পারিক সাহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। বিশ্বের সামনে করোনার মতো যে চ্যালেঞ্জ আসবে, এক হয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”