বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গতকাল থেকেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে বাংলায় । কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে । এর উপর গতকাল দুপুরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী সোমবার থেকে রাস্তায় প্রতিবাদী মিছিল বের হবার কথা । মুখ্যমন্ত্রী নিজেই থাকবেন সেই মিছিলে । সপ্তাহের শুরুতে আবার বাংলায় উত্তেজক পরিস্থিতির আবহ তৈরি হবার সম্ভবনা ।

NRC এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ন্যায় বাংলাতেও আছড়ে পড়ল সেই ঢেউ । গতকাল থেকেই বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারন মানুষ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় । কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হিংসাত্মক ঘটনার খবর পেয়ে চিন্তিত মমতার প্রশাসন । প্রতিবাদ যাতে হিংসাত্মক ঘটনায় মোড় না নেয়, তার জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী শান্তির আবেদন জানিয়েছেন সকলের কাছে । তবে গতকালের ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে তেমন উদ্বেগ দেখা যায়নি । রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং জানিয়েছেন , “এমন কিছু হয়নি। দু’টো ঘটনা ঘটেছে। উলুবেড়িয়া ও বেলডাঙায়। উলুবেড়িয়ার ঘটনায় রেল থেকে ফোন করেছিল, আমি তখন মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং-এ ছিলাম। ওরা সাহায্য চেয়েছিল, আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি।”

গতকাল নাগরিকত্ব বিল এবং NRC র প্রতিবাদের সামিল হতে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেছিলেন, গণ জাগরণ হোক । এমন কি সোমবার নিজে মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে,  রবিবার রাজ্যের সব জেলায় জেলায় মিছিল হবে। সোমবার বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করে গান্ধীমূর্তি হয়ে মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত। ওই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলনেত্রী স্বয়ং।

শুধু তাই নয়, সোমবারের পর আবার লাগাতার প্রতিবাদী মিছিল শুরু হবার কথা । মঙ্গলবার মিছিল হবে যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত। বুধবারও মিছিল হবার কথা । তবে বুধবারের মিছিল কখন কোথায় হবে তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।  ফলে অনেকেই মনে করছেন এদিনের বিক্ষোভে যারা ছিল, তাদের একটা বড় অংশ শাসকদলের কর্মসূচিতে যোগ দেবে।এর সাথে সাধারন সংখ্যালঘু মানুষ যদি রাস্তায় নেমে আসে, তাহলে  গোটা পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আছে । কারন  উল্টোদিকে হিন্দু সংগঠনগুলি এই আইনের পক্ষে কী কর্মসূচি নেবে তা স্পষ্ট নয়।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.