বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছরে ISRO-র সবচেয়ে বড়ো সাফল্য হল ‘চন্দ্রযান ২’। এতো কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যে চাঁদে মহাকাশযান প্রেরণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ISRO’।
গত ২২শে জুলাই তারিখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় ‘চন্দ্রযান ২’। ‘চন্দ্রযান ২’-কে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল ৪৪ মিটার লম্বা GSLV Mk3 রকেট, যা এখনও পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান রকেট। এর মধ্যে একটি অর্বিটার, ‘বিক্রম ( যা ISRO-র প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে) নামক একটি ল্যান্ডার এবং ‘প্রজ্ঞান’ নামের একটি মুন রোভার রয়েছে।
‘চন্দ্রযান ২’ এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বার চাঁদে অভিযান করছে ভারত। এই প্রকল্পটিতে মোট খরচ হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। এর আগে ‘চন্দ্রযান ১’ প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও হাত মিলিয়েছিল। সেবার খরচ হয়েছিল মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা।
শুক্রবার দুপুর ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথের চতুর্থ স্তরটি সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করেছে ‘চন্দ্রযান ২’। পরবর্তী অর্থাৎ পঞ্চম স্তরটি মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে অতিক্রম করে ১৪ আগস্ট চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ২’। এবং আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তা চাঁদের অভিকর্ষজ এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়বে।
এবার ‘চন্দ্রযান ২’ থেকে তোলা পৃথিবীর পাঁচটি ছবি এলো বিজ্ঞানীদের হাতে। গত শনিবার রাত ১০টা বেজে ৫৮ মিনিট থেকে ১১টা বেজে ৭ মিনিটের মধ্যে এই ছবিগুলি তোলা হয়েছে। ৫,০০০ কিলোমিটার দূর থেকে ল্যান্ডারে বসানো LI4 ক্যামেরার সাহায্যে ছবিগুলি তোলা হয়েছে। এতে আমেরিকান মহাদেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশ দেখা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে ISRO-র বর্তমান চেয়ারম্যান কে সিভান জানান, “ছবিগুলি স্বচ্ছ পরিষ্কার এবং মহাকাশযানটি নিখুঁত ভাবে স্বাভাবিক। আমি এই মিশন নিয়ে এখনও পর্যন্ত দারুণ খুশি। ল্যান্ডার এই ছবিগুলি তুলেছে। যা থেকে মনে হচ্ছে এটি চাঁদে অবতরণের সময়কার ১৫ মিনিটের ভয়ঙ্কর মুহূর্তেও কাজ করবে।”