বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছর ২০১৯ এর ২২শে জুলাই তারিখে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ISRO থেকে ‘চন্দ্রযান-২’ নামক একটি নভোযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলো। খরচ হয়েছিল মাত্র ৪৫০ কোটি, এতো কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যে চাঁদে মহাকাশযান প্রেরণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO। ‘চন্দ্রযান-২’ কে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল ৪৪ মিটার লম্বা GSLV Mk3 রকেট, যা এখনও পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান রকেট। এর মধ্যে একটি অর্বিটার, ‘বিক্রম’ ( যা ISRO-র প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে) নামক একটি ল্যান্ডার এবং ‘প্রজ্ঞান’ নামের একটি মুন রোভার রয়েছে।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর আজ ২০শে আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে ‘চন্দ্রযান-২’।
চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের সময় ‘চন্দ্রযান-২’ এর গতির ওপরেই প্রকল্পটির সফলতা নির্ভর করবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন ISRO-র মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যে গতি নিয়ে এটির চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার কথা, তার থেকে বেশি গতি থাকলে এটি চাঁদের কক্ষপথ থেকে ছিটকে মহাশূন্যে হারিয়ে যাবে এবং কম গতি থাকলে চাঁদের অভিকর্ষ বলের টানে আছড়ে পড়তে পারে চাঁদের মাটিতে। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি, সঠিক গতিতেই চাঁদের কক্ষপথে ধুকেছে ‘চন্দ্রযান-২’।
বিজ্ঞানীদের সূত্র থেকে জানা গেছে যে, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের পর ১৫ দিন সেখানেই পাক খাবে ‘চন্দ্রযান-২’। এরপর আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে নামবে নভোযান’টি।