সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

চ্যাম্পিয়নস লিগে আটকে গেলেন মেসি এবং হারলেন রোনালদোরা, একনজরে চ্যাম্পিয়নস লিগ রাউন্ড আপ

ক্লাব ফুটবল দুনিয়ার সর্বসেরা টুর্নামেন্ট হল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং টুর্নামেন্টটি কেন সেরা তার পরিচয় আবার পেলাম আমরা।  বুধবার রাতে শেষ হল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলা যেখানে বার্সেলোনা আটকে গেল লিওন এর কাছে আর জুভেন্তুাস হারল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এর কাছে।

গত মঙ্গলবার রাত্রে যখন বার্সেলোনা খেলতে গিয়েছিল লিওনের মাঠে তখন সবাই আশা করেছিল এই লিগের খেলাটি বার্সেলোনার জন্য খুব একটা অসুবিধা হবে না।  কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসটা যেন অপয়া-তে পরিনত হয়েছে মেসি বাহিনির কাছে।  যদিও বার্সেলোনা এই সময়ে কোন ম্যাচ হারেনি কিন্তু গত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তারা চারটি ম্যাচ ড্র করেছে।  জানুয়ারী মাসটা খুব ভালোভাবে শেষ করেছিল বার্সেলোনা যখন তারা সেভিয়াকে 6-1 গোলে পরাজিত করেছিল তারপর থেকে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে দলটা এরনেস্ত ভালভেরদে তার শিষ্যদের নিয়ে যদি অলিম্পিক লিওনের সাথে ফিরতি লেগের ম্যাচটা না জিততে পারে তাহলে এ বছরের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-কে থেকে বিদায় জানাবে বার্সেলোনা।

এই দিন বার্সা গোল না করলেও তারা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিল।  কিন্তু একটি সুযোগ কেও কাজে লাগাতে পারেনি এই দিন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড-রা।  ফিরতি লেগে বার্সা খেলবে লিওন এর সাথে আগামি ১৪-ই মার্চ।


বুধবার রাতে জুভেন্তাস খেলতে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হোম গ্রাউন্ড ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটন-তে।  শেষ ষোলোর অন্যতম সেরা ফিক্সচার গুলির মধ্যে একটি ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ভার্সেস জুভেন্তাস এই ম্যাচটি।  স্পেনের ফুটবলের অন্যতম শক্তি হলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। দিয়েগো সিমিওনের ছেলেরা এবং কেন তারা স্পানিশ ফুটবল এর অন্যতম সেরা শক্তি সেটার প্রমান তারা দিল জুভেন্তাস এর মত দলকে হারিয়ে।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এর হয়ে হয়ে 78 মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন হিমিনেজ আর দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্যাপ্টেন গডিন 83 মিনিটের মাথায়।

বার্সেলোনা ও জুভেন্তাস দুই দলের কাছেই ফিরতি লেগে ফিরে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু তাদের মতন বড় দলের ফিরে আসাটা অসম্ভব নয়।

 

মন্তব্য
Loading...