রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান জল সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই জল সংকট মোচনের জন্য তিনটি পন্থার কথা উল্লেখ করেন । পাশাপাশি তিনি “স্বচ্ছ ভারত” অভিযানের মত একটি প্রকল্পের কথা বলেন । তারপরেই সোমবার জলশক্তি অভিযানের সূচনা হয় । বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্টের উপর নির্ভর করে জল সংরক্ষণে এবং জল সংকট মেটানোর জন্য জনসচেতনতা প্রসার কেন্দ্র থেকে সরকার জলশক্তি অভিযান এর সূচনা করলেন । মোদি সরকারের নতুন জলশক্তি দপ্তরের মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ ওই প্রকল্পের সূচনা করেন ।
প্রতি নিয়ত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে জল সংকট-এর । বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, অচিরেই এই জল সংকট মহামারীর আকার নেবে । দেশে মাথাপিছু জলের পরিমাণ খুব দ্রুত কমে আসছে । জল সংকট যাতে ভয়ঙ্কর আকার না নিতে পারে, তার জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া এই জলশক্তি অভিযানের উদ্দেশ্য । সরকার স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মতোই দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কারণে দেশে মাথাপিছু জলের পরিমাণ কমে এসেছে । এর প্রধান কারণ হচ্ছে জল সংরক্ষণে উদ্যোগ-এর অভাব । বৃষ্টির জল সংরক্ষণে জন্য কেউই সচেতন নয় । পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই জল সংকট আরো গভীর ভাবে দেখা দিয়েছে । জল মন্ত্রকের খবর, প্রথম পর্যায়ে পয়লা জুলাই থেকে আগামী 15ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রচার চালানো হবে । যার মধ্যে ২৫৬ টি জেলা এবং কোন ১৫৯২ টি ব্লক রয়েছে । দ্বিতীয় পর্যায় চলবে পহেলা অক্টোবর থেকে 30 শে নভেম্বর পর্যন্ত । ৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রচার চলবে ।
এই প্রকল্পে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ৪৪৭ জন প্রযুক্তি অফিসার কে নিয়োগ করেছে জনশক্তি মন্ত্রক । পাশাপাশি চলবে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার । এই প্রচার গুলির মধ্যে জল সংক্রান্ত পাঁচটি ক্ষেত্রকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে । এগুলি হল জল সংরক্ষণ ও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, চিরাচরিত যে সমস্ত জলের উৎস গুলি রয়েছে সেগুলি কে সংস্কার করা, অকেজো টিউবয়েল থেকে শুরু করে জল পরিবহন ব্যবস্থার পুনর্ব্যবহার, জলসত্র তৈরি এবং প্রচুর পরিমানে গাছ লাগানো ।
গ্রামীণ দপ্তর এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র এবং বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী এই কাজে যুক্ত করা হবে । মন্ত্রী বলেন, ” জল সংরক্ষণ করার সময় এসেছে এবং সকলেই জানে এখন কি অবস্থা । সুতরাং ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা না হয়, তার জন্য এই অভিযান । বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । তাই প্রথমবার কোন অভিযানে প্রযুক্তি অফিসার এবং বিজ্ঞানীদের যোগ করা হয়েছে । তবে মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে” ।