লোকসভা ভোটের পর বাংলায় রাজনীতিক তরজা ভালো ভাবেই চলছে । কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ । শাসক দল কোন কিছু বললে বিরোধী দল কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না । আবার কোন রাজনীতিক মন্তব্য ঘিরে বাংলার বুদ্ধিজীবি মহল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ প্রতিবাদ পর্যন্ত করছেন । এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন বহরমপুরের লোকসভা বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।
গতকাল থেকে অনেক জল ঘোলা হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের প্রতিবাদী মিছিলে পুলিশের মারধোর করার ঘটনা নিয়ে । বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হলেও এবার মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী । পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর পুলিশি আক্রমণ নিয়ে সরাসরি পুলিশ মন্ত্রী তথা বিরোধীদলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি । আজ বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“সামনেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী একটা আইন বিল এনে আইন করে দিন যে, এই বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না।”
বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ এ দিন বলেন, “দ্বিতীয়বার তৃণমূলে সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষক সমাজের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। তাঁরা তো সম কাজে সম বেতনের দাবি করছেন। এটা তো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ গিয়ে শিক্ষিকাদের মারছে, শ্লীলতাহানি করছে।”
গতকাল সমান কাজে সমান বেতন, স্থায়ীকরণ – এরকম অনেকগুলো দাবি নিয়ে পার্শ্বশিক্ষকরা যে ঐক্য মঞ্চ গঠন করেছিল, সেখান থেকে বিশাল জমায়েত নিয়ে বিকাশ ভবনে যায় । তাদের পরিকল্পনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য । কিন্তু সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় না থাকায়, আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরে কল্যাণীতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । সেখানেই শনিবার সন্ধ্যা বেলার পুলিশ আলো নিভিয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করে । এমনকি মহিলাদের পোশাক পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয় – এমনই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । তার উপর পুলিশের মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যাবার পর, সেটি ভাইরাল হয়ে যায় । ঠিক এই সময় পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সম্পর্কে এই মন্তব্য করে ।