লোকসভা ভোটে বিপুল ভাবে জয়লাভ করার পর বিজেপি নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল । সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গিয়েছে বিজেপি নতুন সদস্যের সংখ্যা বেড়ে ৩.৮ কোটি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার পরই বিজেপিতে সদস্য সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এটা অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশ্মা। কারণ তা না হলে মাত্র দেড় মাসেই বিজেপি দেশ জুড়ে এই পরিমাণ সদস্য বাড়িয়ে ফেলতে পারত না ।
ভোটে জয় লাভ করার পর দলে নতুন সদস্য যোগ করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছিল বিজেপি । দলের সক্রিয় সদস্যরা দেশের জায়গায় জায়গায় ক্যাম্পেন করেছে। নতুন নতুন সদস্যদের যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছে ভাল করে । আর তার ফলে মাত্র দেড় মাসে বিজেপিতে সদস্য সংখ্যা বাড়ল কয়েক কোটি।
আসুন একবার পরিসংখ্যান দেখা যাক । উত্তরপ্রদেশের যেখানে ২০১৫ সালে বিজেপির মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ। সেখানে বিজেপির অভিযানের ২০ শতাংশ অর্থাৎ ২২ লক্ষ ৬০ হাজার নতুন সদস্য বানানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু ওই রাজ্যের বিজেপির অভিযান সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেয়। উত্তরপ্রদেশের পর দিল্লিতে বিজেপি সবথেকে বেশি সদস্য সংগ্রহ করেছে। কয়েকমাস পরেই দিল্লিতে নির্বাচন। আর সেখানেই বিগত দেড় মাসে বিজেপি ১৫ লক্ষ নতুন সদস্য বানিয়েছে।
অভিযানের পর্যবেক্ষক দুষ্মন্ত গৌতম বলেন, “বিজেপি প্রতি ৬ বছর অন্তর এই বছরে সদস্যতা অভিযান চালায়। আর এই অভিযানে ২০ শতাংশ নতুন সদস্য বানানোর টার্গেট নেওয়া হয়। এবারের অভিযান বিজেপির সবথেকে বড় উপলব্ধি হিসেবে সামনে এসেছে।”
জম্মু কাশ্মীর থেকেও বিজেপি অপ্রত্যাশিত ভাবে সাফল্য পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিজেপি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার নতুন সদস্য বানিয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের জন্য বিজেপি মাত্র ১ লক্ষ নতুন সদস্যের টার্গেট রেখেছিল। ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। আর এই কারণে সেখানে নয়া সদস্যের এই অভিযান চালাতে অসুবিধা হয়েছে। আর এই কারণে জম্মু কাশ্মীরে অভিযানের তারিখ ২৫ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিজেপি আশা করেছে যে, জম্মু কাশ্মীর আর লাদাখ থেকে বিজেপি ১২ লক্ষ নতুন সদস্য বানাবে।
অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে গুজরাতে ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার, কর্ণাটকে ১৬ লক্ষ ৯০ হাজার, মহারাষ্ট্রে ১৯ লক্ষ ৯৭ হাজার, রাজস্থানে ২০ লক্ষ ৮৭ হাজার আর মধ্যপ্রদেশে ২৪ লক্ষ ৫৩ হাজার নতুন সদস্য হয়েছে এছাড়াও উত্তরাখণ্ডে প্রায় ১০ লক্ষ, হরিয়ানায় ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৮৪, হিমাচল প্রদেশে ৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০৪ আর পাঞ্জাবে ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৪২২ জন নতুন সদস্য হয়েছে।
আগামী বছর পশ্চিম বাংলায় ভোট হবার কথা । রাজনৈতিক মহল ধারনা করছে আগামী দিনে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ বাংলার দিকে নজর দেবে না, এটা হতেই পারে না । কিন্তু তাদের কি পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না । রাজ্যের শাস্ক দল প্রশান্ত কুমারকে পরামর্শ দাতা হিসাবে নিযুক্ত করেছে । এমন কি শনা যাচ্ছে তার নির্দেশ মত এখন বাংলায় অনেক কিছু চলছে । তবে প্রশান্ত কুমার কত খানি সফল হতে পারবেন সেটি ভবিষ্যৎ বলবে ।