বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এতদিন শুধু পেনশন কথাটা সরকারি কর্মচারীদের সাথেই যুক্ত ছিল। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা মানুষেরা এই পেনশন কি জিনিস কিছুতেই জানতে পারতনা। কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেসরকারি কর্মচারীরাও এবার থেকে পেতে পারেন মোটা অংশের পেনশন।
দেশে সরকারি চাকরীজীবিদের থেকে বেসরকারি চাকরীজীবিদের সংখ্যা অনেক বেশী। তবুও সরকারি চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রেই পেনশন কথাটা বেশী প্রচলিত। তবে এবার থেকে হয়ত এই ধারণা বা কথাটা বদলাবে। জানা যাচ্ছে যে, যেসব বেসরকারি সংস্থা ২০ বা তার বেশী কর্মী যুক্ত সেখানকার কর্মচারীরা পাবেন পেনশানের সুবিধা। তবে এই পেনশানের সুবিধা পাবার জন্য মানতে হবে কিছু শর্তাবলী।
যেসব বেসরকারি সংস্থার কর্মী সংখ্যা ২০ বা তার বেশী সেইসব সংস্থাগুলির প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমের একটি অংশ হল ইপএস। এটি এক ধরণের পেনশন স্কিম। যেসব বেসরকারি সংস্থাগুলি ২০ এর বেশী কর্মীযুক্ত সেইসব সংস্থাগুলির জন্য এই প্রকল্পটি একটি ঐচ্ছিক বিষয়।যেসব বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন মানে বেসিক স্যালারি ১৫০০০ টাকা তাদের জন্য এই প্রকল্প বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার অন্যদিকে যেসব বেসরকারি কর্মচারীদের বেসিক মাসিক বেতন ১৫০০০ টাকার ওপরে তাদের ক্ষেত্রে এটা একটি ঐচ্ছিক বিষয়।
আরও জানা যাচ্ছে যে, যেসব সংস্থা ইপিএফওতে রেজিস্টার করা তাদের কর্মচারীরা এই ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সুবিধা পাবে। বেসরকারি কর্মীদের বেতনের ১২% ম্যাচিং কন্ট্রিবিউশানের মধ্যে ৮.৩৩% জমা হয় এই খাতে। মোট ২৪% এর মধ্যে ১৫.৬৭% জমা হবে ইপিএফে। এছাড়া উপযুক্ত বেসিক স্যালারির ওপর কেন্দ্র দেবে ১.১৬%। যেহেতু পেনশানের টাকার হিসেব করা হয় x=AxB/70 এর মাধ্যমে সেহেতু ১০ বছরের বেশী কর্ম জীবন হলে সেই ব্যক্তি এই পেনশানের উপযুক্ত হবে। এছাড়া একজন কর্মচারীর অবসর গ্রহণের বয়স হতে হবে ৫৮। যদি কোনও ব্যক্তি ৫০ বছরের আগে অবসর নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তি আর্লি পেনশানের সুবিধে পাবে। সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পেনশানের টাকা থেকে প্রতি বছর কমবে ৪%। এবং তিনি মারা গেলে পরিবার পাবে সেই পেনশানের টাকা। এখন দেখার অপেক্ষায় কবে থেকে এই সুবিধে চালু করে সরকার।