বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পেঁয়াজের হাহাকারের মধ্যেই আসলো এক অভূতপূর্ব সুখবর। ডিসেম্বরেই কমবে পেঁয়াজের দাম এমনটাই জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সাধারণ মানুষের জন্য সত্যিই এটা একটি দুর্দান্ত খবর।
বাঙালীর হেঁসেল যেনো পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাই যায়না। সারাদিন তাদের রান্নাঘরে যে পদই রান্না হোক না কেনও তাতে পেঁয়াজ ভীষণই জরুরী একটি জিনিস। আর পেঁয়াজ যেনো নুনের মতোই বাঙালীর জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। পেঁয়াজ ছাড়া যেনো রান্নাঘর ভাবাই যায়না। কিন্তু কদিন ধরে পেঁয়াজ নিয়ে দেশে যে হাহাকার শুরু হয়েছে সেটা সত্যিই বেদনাদায়ক। ৮০ টাকা কেজি থেকে শুরু করে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা কেজিতে। মধ্যবিত্ত বাঙালী থেকে শুরু করে হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিকদেরও রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দাম। এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, “নাফেড” নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৮০০ টন পেঁয়াজের বরাত দেওয়া হয়েছে এবং এই পেঁয়াজ ডিসেম্বরের মধ্যেই চলে আসবে রাজ্যে। এবং এই পেঁয়াজ রাজ্যে এলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে রাজ্য সরকারের ধারণা। যে ভাবে কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম চরচর করে বেড়ে গেছে এই ব্যবস্থার ফলে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে। এছাড়া রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনার পর ব্যবসায়ীদের ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও সুফলা বাজারে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলই তবে অনেকেই অবগত নন এই বাজার সম্পর্কে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের এক সরকারিক আধিকারিক জানান,” আমরা এই সপ্তাহে ২০০ টন পেঁয়াজের বরাত দিয়েছি। মোট ৮০ টন পেঁয়াজ এই ডিসেম্বরেই এসে পৌঁছবে। এই পেঁয়াজ মিশর থেকে আমদানী করা হবে।” তিনি আরও বলেন,” কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ভীষণ দেরীতে হল। অন্তত এক মাস আগে এই বরাত দেবার অনুমতি দিলে এইরকম দাম বাড়ত না।” তিনি আরও যোগ করেন যে, ” যদি আমাদের অনুমতি দেওয়া হত তবে অনেক আগেই আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে কম দামে পেঁয়াজ আমদানি করতাম।” এখন যদি পেঁয়াজের দাম কমে তবে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটবে, সেটারই এখন অপেক্ষা।