বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশের স্বার্থে একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারে সেইরকমই একটি বড় পদক্ষেপের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবারে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা অত্যাধিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশাল পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার।
দ্বিতীয়বার বিপুল ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ নেবার পর তিনি যেভাবে দেশের উন্নতির জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছিলেন এবারে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে এসে আরও বিপুল ভাবে তিনি দেশ এবং দেশবাসীর স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। নিয়ে চলেছেন একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সংবিধানে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি হোক কিংবা অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি, আবার NRC হোক কিংবা CAA বা তিন তালাক। কোনও রকম কোনও চাপই মোদী সরকারকে দমাতে পারছেনা। সবাই যখন তাঁর এবং তাঁর সরকারের সমালোচনায় মুখর, তখন তিনি নিরবে সব সমালোচনা সহ্য করে যাচ্ছেন দেশের স্বার্থে। সেরকম ভাবেই তিনি এবার জন্মনিয়ন্ত্রণে কঠোরতা অবলম্বন করতে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছর ১৫ই অগাস্ট মানে স্বাধীনতা দিবসের দিন লাল কেল্লা থেকে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার সময় এই জন্মনিয়ন্ত্রণ এর ওপর জোড় প্রদান করে বলেছিলেন যে, জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিবারকে ছোটো রেখে সাধারণ মানুষ দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারবেন। এবারে প্রধানমন্ত্রীর সেই মনোভাবকেই বাস্তবায়িত করতে চলেছে নীতি আয়োগ। কিভাবে এবং কোন পদ্ধতির মাধ্যমে একটি পরিবার জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই উদ্দ্যেশ্যেই কাজ করে চলেছে নীতি আয়োগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন যে, সমাজের একটি অংশ জন্মনিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করলেও অন্য অংশ কিন্তু সেইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। আর এরপর এই জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয় নীতি আয়োগ নড়েচড়ে বসলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে যায়।
এই প্রসঙ্গে যদিও বিজেপি সরকার আসামে কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করেছে। এবং সারা দেশে এই আইন কার্যকর করার কথা ভাবছে সরকার। এই আইনে বলা হয়েছে যে, প্রতি পরিবারে দুটির বেশী সন্তান নেওয়া যাবে না। অন্যথায় সেই পরিবারে কেউ সরকারি চাকরী পাবেনা। এছাড়া কেউ চাকরিরত অবস্থায় এই নিয়মের পালনে অসমর্থ হলে তাকে চাকরী থেকে বহিষ্কার করা হবে। এছাড়াও দুটির বেশী বাচ্চা হলে পৌরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্ধিতাও করা যাবেনা। এই আইনের বিরুদ্ধে যেমন একদিকে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল এবং বিরোধীরা, তেমনই এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি। তারা এই আইনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণকে উপেক্ষা করার ডাকও দিয়েছে। যদিও এই বিষয় সাধারণ মানুষ এখনও কোনও মতামত প্রকাশ করেনি। এখন দেখা যাক এই ৫৬ ইঞ্চির প্রধানমন্ত্রী দেশ এবং জাতীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে আর কি কি পদক্ষেপ নেন।