বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি সামাজিক গণমাধ্যমে ট্রোলিং এর শিকার হলেন বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী জারিন খান। সূত্র থাকা জানা যাচ্ছে, নিজের শরীরে থাকা স্ট্রেচ মার্ক এর কারণেই বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রী’কে।
হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অভিনেত্রী জারিন খান। সলমন খান এর সাথে ‘ভীর’ ছবিতে অভিনয় থেকে শুরু করে ‘হেট স্টোরি ৩’, ‘আকসার ২’, ‘বাজাহ তুম হো’, ‘১৯২১’ ইত্যাদি একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
সম্প্রতি গত শুক্রবার নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী জারিন খান, যেটিই মূলত সমস্যার সৃষ্টি করেছে। সামাজিক গণমাধ্যমে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের একটি ক্রপ টপ পরিহিত অবস্থায় রয়েছেন জারিন, এবং তাঁর পিছনে উদয়পুরের সরোবর রয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “সরোবরের শহর”। উক্ত ছবিতেই জারিনের পেটের স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ সকলের নজরে পড়ে। এরপরই সামাজিক গণমাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে বিদ্রুপ শুরু হয়ে যায়।
https://www.instagram.com/p/B1xvovop6Cd/
সাধারণত বহু মহিলার শরীরেই এমন স্ট্রেচ মার্ক লক্ষ্য করা যায়। আকস্মিক ভাবে ওজন কমালে কিংবা সন্তান প্রসবের পর মহিলাদের দেহে এই ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক আসে। আর আমরা অনেকেই জানি যে, বড় পর্দায় অভিনয় করবার জন্য একবারে অনেকখানি ওজন কমাতে হয়েছে অভিনেত্রী জারিন খান’কে। প্রায় ১০০ কেজি থেকে নিজের ওজন একবারে ৫৭ কেজি’তে নামিয়ে নজির গড়েছেন তিনি। মূলত সেই কারণেই জারিনের দেহে ফাটা দাগ লক্ষ্য করা গেছে।
কিন্তু সাধারণ মহিলাদেরকে এই ব্যপারটি নিয়ে অতটা বিদ্রুপের শিকার না হতে হলেও, একজন হওয়াই অভিনেত্রী হওয়াই যথেষ্ট পরিমাণ ট্রোলিং শুরু হয়েছে জারিন’কে নিয়ে। একারণে যারা এই বিদ্রুপে অংশগ্রহণ করছেন, তাদের মানসিকতাকে ধিক্কার দিচ্ছেন জারিনের ভক্ত’রা।
অভিনেত্রী নিজে এপ্রসঙ্গে বলেন, “যে সমস্ত ব্যক্তি আমার শরীরের দাগ নিয়ে খুবই কৌতূহলী তাদের জানিয়ে রাখা ভালো, ৫০ কেজির মতো ওজন কমালে শরীরে স্ট্রেচ মার্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ফটোশপ না করলে একজন মানুষের আসল চেহারাটা বোধহয় এমনই হয়। আমি তাদেরই মধ্যে একজন যারা নিজেদের অপূর্ণতাকে ঢেকে রাখতে নয়, গর্বের সঙ্গে প্রদর্শন করতেই পছন্দ করে।”
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে পেটে স্ট্রেচ মার্ক দেখা যাওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বলিউডের আরও এক সেলিব্রিটি মালাইকা অরোরা’কে।