বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানে ভাতের চেয়ে রুটির প্রচলন বেশি । ফলে সেখানে গমের চাষও অনেক বেশি । কিন্তু সেই পাকিস্তানেই রুটির দাম হঠাৎ করে এমন ভাবে বেড়ে যাবে কে ভেবেছিল ? রুটি কিনতে গরীব মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে । করোনার মধ্যে রুটির দাম বৃদ্ধির পিছনে কালোবাজারিকে দায়ী করছে পাক সরকার ।
পাকিস্তান সরকার গত বছর টম্যাটো, পেঁয়াজ আর দুধের জন্য নাকানি চোবানি খেয়েছিল । এবার রুটি স্যাকা দিতে শুরু করেছে ইমরান বিগ্রেডকে । সেখানে হু হু করে বেড়ে চলেছে আটার দাম । নিজের দেশে কালোবাজারি আটকাতে ব্যর্থ ইমরান খান সরকার এবার একান্ত বাধ্য হয়েই বাইরের দেশ থেকে গম ও আটা আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে ।
গম উৎপাদনে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বরাবরই নামডাক রয়েছে । যেখানে পাকিস্তানে মাত্র ১৮/১৯ টাকায় পাওয়া যেত এক কেজি আটা, সেখানে দাম ৩ থেকে চার গুন বেড়ে গেছে । পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, তাদের দেশে এখন এক কেজি আটার দাম ৫৪ টাকা। তবে এটা করাচির বিভিন্ন বাজারের দাম। পাঞ্জাবসহ অন্য প্রদেশে এক কেজি আটা নাকি ৬০-৬৫ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
এমনিতেই ভারতের সাথে শত্রুতা করার জন্য পাকিস্তানের বাজেট বাড়াতে হয় । এর উপর আছে জঙ্গিদের মদত দেবার প্রশ্ন । করোনার আগেই ভারত বিরোধিতার জের হিসাবে বেশ কিছু দেশ থেকে আর্থিক অনুদান কমে গেছে পাকিস্তানের । করোনার আগেই পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল আর্থিক মন্দা । করোনার প্রকোপে সেই মন্দা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে । এদিকে সে দেশের বহু মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। বেকারত্ব বেড়েছে রেকর্ড হারে।এমন অবস্থায় রুটির বা আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তদের ।
এই মুহূর্তে আটার দাম প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার কারনে এবং পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল আরও খারাপ হওয়ায় রুটি সাধারণ মানুষের কাছে মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে সরকার কেবিনেট বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানের সরকার আপাতত অন্য দেশ থেকে গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের সরকারী পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে গত বছর পাকিস্তানে গমের উৎপাদন নেহাত মন্দ নয় । তাহলে দাম এমন আকাশছোঁয়া কেন ! এর পিছনে দায়ি কালোবাজারি। সরকার কালোবাজারিদের রুখতে আইন প্রণয়ন করেছে। তাতেও লাভ হচ্ছে না। আপাতত পাকিস্তান রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত এক লক্ষ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে পাকিস্তান।