কালো লম্বা গড়নের একটি মেয়ে। চাকরি প্রয়োজন। হোটেলের বয় হলেও হয়। হোটেল থেকে হোটেলে। সব হোটেল মালিক বলছে আমার এখানে লাগবে না। কালো মেয়েটি হেরে যাবার পাত্র নয় শেষ পর্যন্ত চাকরি পেল একটি হোটেলে। চাকরির অভিজ্ঞতা নেই তাই খাবার পরিবেশন করতে গেলে পড়ে যায়। কাজে অদক্ষতা থাকায় হোটেল মালিকের কাছে রোজই বকা খাচ্ছে। বকা খেয়েও থমে যাবার পাত্র নয় কাঁদছে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সহকর্মীরাও তেমন পচ্ছন্দ করে না। গায়ের রঙ কালো তাকে আবার কেউ পছন্দ করে কি? তাকে কেউ পাত্তা দিতে চায় না। গায়ের রঙ কালো। একদিন এক সহকর্মীর জন্মদিনে কেক কাটার পর খেতে দিলে খেতে পারে না কালো মেয়েটি। সবাই এড়িয়ে থাকতে চায় কালো মেয়েটিকে।
একদিন কালো মেয়েটি হয়ে উঠলো জিজ্ঞাসার পাত্র। হোটেলের বাইরে গেলে তার আশ পাশে অনেক গুলো লোক ঘিরে দাড়ায়। বিষয়টি কি সবাই জানতে চায়। এমনকি মালিকও জানতে চায়। সবার চাপাচাপিতে বেরিয়ে আসে পরিচয়। সে নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়ে। বিশ্ববাসী জেনে যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছোট মেয়ে সাশা ওবামা নিজের পরিচয় লুকিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন । গ্রীষ্মকালীন ছুটির ফাঁকে ম্যাসাচুসেটসের মার্থাস ভিনিয়ার্ড নামের একটি দ্বীপের ওই রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকরা চেপে ধরে নিউজ করে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা বলেন, -“সন্তানদেরকে একটা বয়সের পরে রাজকীয় বিলাসিতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। কারণ, তাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে এবং অন্য দশটা মানুষের মতোই বাঁচতে শিখতে হবে।”
রেস্তরার নাতাশাই যে বারাক ওবামার মেয়ে সাশা সহকর্মীরা জানতে পেরে অবাক হয়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ১৫ বছরের ছোট মেয়ে সাশা এখন কাজ করছে ম্যাসাচুসেটসের মার্থা ভিনিয়ার্ডের একটি রেস্তোরাঁয়। ‘সামার জব’ হিসেবে এই কাজে জয়েন করেছেন সাশা। সামুদ্রিক খাবার আর মিল্কশেকের জন্য বিখ্যাত ওই রেস্তোরাঁটি। ওবামা স্বয়ং ওই রেস্তোরাঁয় খেতে বেশ পছন্দ করেন। স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার জন্যই সাশা এই কাজ শুরু করলেন বলে জানা গিয়েছে।