বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শত্রুতা চিরদিনের। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও অব্দি এই শত্রুতা সমানভাবেই বর্তমান। ফলস্বরূপ প্রতিক্ষেত্রেই ভারতকে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে জানান দিতে চায় পাকিস্তান; কিন্তু দিন দিন ভারতের প্রযুক্তি যে হারে উন্নতিলাভ করছে, তাতে ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান।
এর আগে বহুবার ভারত-পাকিস্তান মধ্যবর্তি শান্তি চুক্তি বিঘ্নিত করে ভারতের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। শেষবার পুলওয়ামাতে ভারতীয় সেনা জওয়ান’দের ওপর হামলা চালানোর কারণে পাকিস্তানের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে ভারত।
আবারও সীমান্তে নিজেদের শক্তি মজবুত করছে পাকিস্তান। আর সেকারণেই চিন্তিত ভারতের অনেকেই। সম্প্রতি ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি খারিজ করে নেওয়াই জম্মু এবং কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে, একারণে ভারত সরকারের ওপর প্রচণ্ড পরিমাণে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় তাঁদের শক্তিবৃদ্ধি ভারতের চিন্তার কারণ। কিন্তু পাকিস্তানের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করছেননা ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
“৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা খারিজ করার পরে পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং সেনাবাহিনী ফের সাধারণ মানুষের সঙ্গে হার্দিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।” গত মঙ্গলবার এই বক্তব্য করলেন ভারতবর্ষের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
তাঁর বক্তব্য, “৩৭০ ধারা খারিজ হয়ে গেলেও আমরা মানুষের সঙ্গেই থাকবো। মনে রাখা উচিত, ৭০ ও ৮০’র দশকে কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ,ইলেমিশে থাকতো সেনা। আমরা অস্ত্র ছাড়াই পরস্পরের সঙ্গে মেলামেশা করতাম এবং সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আবার সেই সম্পর্কে ফিরে যাবো।”
এই দিন’ই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি’কে নিতান্তই তাঁদের ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করলেন রাওয়াত। তিনি বললেন, “যদি প্রতিপক্ষ নিয়ন্ত্রণরেখায় গতিবিধি বৃদ্ধি করে, সেটা তাঁদের ব্যাপার। প্রত্যেকেই সতর্কতামূলক সেনা নিয়োগ করে থাকে। তা নিয়ে আমাদের বিশেষ চিন্তা করার দরকার নেই। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য ব্যবস্থার বিষয়ে আমরা সদা সতর্ক রয়েছি।”