বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্ষার মরসুমে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে আকাশের দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে বসে থাকলেও চলতি বছরে বৃষ্টির দেখা পায়নি বঙ্গবাসী। বৃষ্টির অভাবে এবছর সেভাবে ইলিশেরও আবির্ভাব ঘটেনি বাংলায়; মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভোজন রসিক বাঙালী, সকলেই মনমরা সেকারণে। বর্ষার পথ চেয়ে বসে থাকা বাঙালীর মনে সেসময় ঠিক যে ভয়টা এসেছিল, তা’ই বর্তমানে সত্যি হওয়ার পথে এগোচ্ছে!

গোটা আষাঢ়-শ্রাবণ মাস শুকনো থাকলেও, বর্ষার শেষের দিকে স্নিগ্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলার পরিবেশ। একটানা বেশ কিছু বর্ষণের ফলে স্বস্তি পেয়েছিল বাংলার মানুষ। তখন আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে, অনুমান করা গিয়েছিল যে শারদীয়া’র আগেই বর্ষার প্রভাব কেটে যাবে। কিন্তু অবশেষে মহোৎসবের মুখোমুখি এসে আবার বৃষ্টিপ্রবণ হয়ে উঠল বাংলা। বিভিন্ন পূজা কমিটি থেকে শুরু সাধারণ বাঙালী, সকলের মাথায় হাত! তাহলে কি প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় মাঠে মারা যাবে দেবীপক্ষ?

এমতাবস্থায় আবহবিদ’রাও আশ্বাসবাণী শোনাতে পারছেন না আপাতত। সম্প্রতি বৃহস্পতিবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানালেন, আপাতত শনিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরপর আগামী রবি ও সোমবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে আবহবিদ’দের অনুমান অনুযায়ী, মূলত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই হবে এ’কদিন।

কোনও কোনও আবহবিদ অনুমান করছেন, দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বাংলার আকাশ। তবে সম্পূর্ণ ঝকঝকে পরিবেশ পাওয়া যাবে কি না, সেবিষয়ে নিশ্চিত করতে পারছেনা কেউই। একারণে বর্তমানে কলকাতা সহ বাংলার অন্যান্য শহরের পূজা কমিটি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে!

তাই বলে সম্পূর্ণ আশা ছাড়ছেন না কেউই। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কথা কে আগে থেকে নিশ্চিত বলতে পারে? হয়তো দেবীপক্ষে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে শরতের নীল আকাশ উঁকি দিতে পারে আবার। যা শুনে আবহবিজ্ঞানীদের অনেকেই রসিকতার সুরে বলছেন, “প্রকৃতির খামখেয়ালে বিপর্যয় তো অনেক হয়। এ বার একটু উল্টো হলে ক্ষতি কী?”

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply