প্রেমে কত কিছুই না ঘটে । মানুষের জীবন চলে যায় পর্য্যন্ত । এমন একটা ঘটনা ঘটল এবার লালগোলা থানার বাহাদুরপুর কলোনি এলাকায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা সেলিম শেখ তার প্রতিবেশী গ্রাম বাহাদুরপুর কলোনির বাসিন্দা রিমা হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে । অবশ্য তাদের এই প্রেমের খবর আশেপাশের লোকজনের অজানা ছিল না ।
প্রেমিকা ফোন করে তার ফাঁকা বাড়িতে ডেকে ছিল সেলিম কে । ফোন পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কলোনি এলাকায় পৌঁছায় প্রেমিক । কিন্তু তার জন্য যে কি অপেক্ষা করেছিল, সেটা সেলিম একটুও বুঝতে পারেনি । প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছানো মাত্রই প্রেমিকার বাড়ির লোকজন চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে । অন্ধকারের মধ্যে সেলিমকে অনেকেই চিনতে পারেনি । তাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে ফেলে মেয়ের বাড়ির লোকজন । প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের হাতে বেধড়ক মার খেতে হয় ।
বেগতিক দেখে পাড়ার লোকজন পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ এসে সেলিমকে উদ্ধার করে । প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এ । কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ট্রান্সফার করা হয় ।
হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রচন্ড মারের চোটে প্রেমিকের বুকে, কোমরে, মাথায় বেশ ভালো রকম আঘাত লেগেছে । সেলিম এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তার বাবা মমিন শেখ বলেন, ” ছেলে মেয়ে উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক । এখন ওরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে । আমার আর কি বলার আছে । তবে কৌশল করে ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে মেরেছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । কার্যত ওর আমার ছেলেকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল । পুলিশের কাছে আবেদন, দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক” ।
এদিকে প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ যোগাযোগ করেনি । তাদের বাড়িতেও পাওয়া যায়নি । এমনকি ফোন করলেও ফোন ধরেননি মেয়ের বাড়ির কেউ ।