বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কাজ পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বশিরহাটের এক কিশোরীকে ভিন রাজ্যে নিয়ে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কিশোরীর নিজেরই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে । স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে । ফলে ভন রাজ্যে আটকে পড়েছিল বহু মানুষ । তেমনি কাজের লোভ দেখিয়ে বশিরহাটের সপ্তম শ্রেণীর এক কিশোরীকে সাদ্দাম গাজী নামে এক ব্যাক্তি অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে যায় ।লকডাউনের ফলে পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবার পর সেখানে গত চার মাস ধরে সেই কিশোরী লাগাতার ধর্ষণের শিকার হয় ।
জানা গেছে, বশিরহাটের পিফা গ্রামে বাড়ি নির্যাতিতা কিশোরীর । মাস চারেক আগে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সাদ্দাম গাজী নামে তার প্রতিবেশী কাকা অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে যায় তাকে । গত মাসের ১ তারিখ বিশেষ ট্রেনে করে নির্যাতিতা কিশোরী বাড়ি ফিরে আসে । সে মাথা ন্যাড়া অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসলে তার অভিভাবক দের সন্দেহ হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের প্রশ্নের মুখে সেই ছাত্রী তার অভিভাবকদের সব জানায়।
এরপর মেয়েটিকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন বশিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগে জানানো হয়েছে, কাজের প্রলোভনে পড়ে অন্ধ্রপ্রদেশে যাবার পর লকডাউনের সুযোগ নিয়ে ওই কিশোরীকে ঘরে আটকে একাধিকবার ধর্ষন করেছে সাদ্দাম গাজী।লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ৪ মাস ধরে ওই কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষন করার পর সাদ্দাম অবশেষে ওই ছাত্রীকে ন্যাড়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
বশিরহাটের পিফা গ্রামের নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশী কাকা সাদ্দাম গাজী বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে আছে ।সাদ্দাম গাজীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। বশিরহাট থানার পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, অভিযুক্ত ধর্ষক সাদ্দাম গাজীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার ।