বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আতাউল করিম দ্রুতগামী ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করেছেন। ১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও মাঝে মাঝে তিনি বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে আসেন। ১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় জন্ম ড. আতাউল করিমের। তার বাবা ছিলেন ডাক্তার। পূর্বপুরুষরা ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন।
স্থানীয় ড. করিম সাথমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখা পড়া শুরু হয়। এখানে এক বছর পড়ার পর পাথারিয়া ছোটলেখা হাই স্কুলে। এরপর ভর্তি হন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে, যা তখন ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আতাউল করিম চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ প্রথম হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭৮ সালে পদার্থবিদ্যায় ও ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লিটিল রকের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাসে শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি (ওডিইউ) ইন নরফোকের গবেষণা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্কের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীনের দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন বিমান বাহিনী, মার্কিন নৌ গবেষণা কেন্দ্র, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন, মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র (নাসা), যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ, ওহিও অ্যারোস্পেস ইনস্টিটিউট, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স ও রাইট প্যাটারসন এয়ার ফোর্স বেস গবেষণা করেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম ভাসমান ট্রেন চলাচল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে ড. আতাউল করিমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানের জগতে বিশাল অবদানের জন্য অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ড. করিম।
মেধাবী মানুষের গল্প বইয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখক মোহাম্মদ কায়কোবাদের আতাউল করিমের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ আছে।