বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে অভিযোগ ও বিতর্ক চলছিল। যার ফলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও সমালোচনার মুখে পড়ে।
বিতর্ককে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের বৈঠকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বর বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। একইসাথে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের বৈঠকে একই সাথে আগামী ডিসেম্বরের ২০ ও ২১ তারিখ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী বৈঠক শেষে বলেন, আমাদের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হবে। এই বিশ্বাস ও আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী আছে তাদের প্রত্যেককে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
প্রসঙ্গত ছাত্রলীগের এই দুই নেতা চাদা, অগ্নি সংযোগ, কমিটি বানিজ্য, টেন্ডারবাজি , মাদক সিন্ডিকেট সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন। আওয়ামিলীগের অনেক সিনিয়র নেতার সাথে তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে চাঁদার দাবি করলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নেন। পূর্বে পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তারা প্রধান মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মাফ পান। একই সাথে গণভবনে শোভন-রাব্বানীর প্রবেশের স্থায়ী পাস স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য ছাত্রলীগের এই নেতারা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে কোন আশার বানী পাননি। পরবর্তীতে গোলাম রাব্বানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মমতাময়ী নেত্রী’ সম্বোধন করে একটি চিঠি লেখে সকল কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চান। এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি দুই শীর্ষ নেতৃত্বের।