বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবসের তাগিদ দেন স্পেনের মাদ্রিদে কপ-২৫ নামে পরিচিত ২৫ তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ সম্মেলনে পরিবেশের অবনতি কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক সকল বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যে বিশ্বে সর্ববৃহৎ ডেল্টা তা উল্ল্যেখ করেন। তিনি বিষয়টিকে হালকা করে দেখার চেষ্টা করি তাহলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো এবং ২০৫০ সালের মধ্যে এ দেশের বিপুলসংখ্যক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ এই হার ৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের উপর রোহিঙ্গা প্রত্যাবসানের জন্য চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি নেদারল্যান্ড সরকারের কাছে আহ্বান জানান যাতে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। প্রসঙ্গত আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে যোগ দিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি নেদারল্যান্ডস সফর করবেন। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধানও তাদেরই করতে হবে। তিনি মার্ক রুটেকে বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ। তারা সবসময়ই বলে আসছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেবে। তারা কখনোই বলেনি যে, ফেরত নেবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আপনারা সহায়তা করতে পারেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আগমনের কারণে কক্সবাজারের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের স্থানাস্তরের জন্য দ্বীপটির উন্নয়ন করেছে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান রাজনৈতিক সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দানের জন্য নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ জানান।