বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত রাখার সাফল্যে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন-জিএইভিআই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রদান করে। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএভিআই’র বোর্ড চেয়ার ড. গোজি ওকোনজো-ইউয়িয়ালার কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কারটি গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী সেটি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেন।
তিনি বলেন, ভ্যাক্সিনেশনের জন্য বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রম আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ ও নতুন প্রজন্ম দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা নিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অধীনে ইমুনাইজেশনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরের এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো আশা প্রকাশ করেন, ২০৩০ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশে সকলের জন্য ভ্যাকসিন এর লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছানো সম্ভব হবে। ইমুনাইজেশনকে স্বাস্থ্য খাতে সরকারিভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যগাঁথা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, রাখাইন থেকে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরাট ঝুঁকি তৈরি করেছে।জিএভিআই’র সর্বশেষ জরুরী এবং শরণার্থী নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৭ সালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে জনগণের প্রতি তার সরকার সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী রুপকল্প ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানান এবং মনে করেন মৌলিক স্বাস্থ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।