বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো নৌবাহিনীর জন্য “Amphibious Transport Dock”। বর্তমান বছরের মধ্যে “Amphibious Transport Dock” ক্রয়ের চুক্তিপত্র হওয়ার কথা।
নৌপথের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরে জায়গায় সেনা আর্মড স্থানান্তরে ব্যবহার করা হয় “Amphibious Transport Dock”। এমন একধরনের যুদ্ধজাহাজ এটি দেশের মধ্যে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভেহিকল, ট্যাংক পরিহনে ব্যবহার করা হয়। মিশন পরিচালনার জন্য নিজস্ব হেলিকপ্টার রাখা ছাড়াও ল্যান্ডিং স্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে হ্যাঙ্গারও থাকে। এককথা বলা যায় সেনা, যুদ্ধযান ও হেলিপটার বাহী রণতরী।
২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার সার্ভিসে এ রণতরী যোগ করবে। রণতরী কেনার জন্য ইতিমধ্যে ইটালি অফিসিয়ালি তাদের San Giorgio ক্লাস এর “Amphibious Transport Dock” বাংলাদেশ কে অফার করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পছন্দের তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার Dokdo ক্লাস ও আছে। Dokdo-class এর Amphibious Transport Dock গুলো আকারে অনেক বড় এবং এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তুলনামূলকভাবে San Giorgio ক্লাস এর চাইতে ভাল।
বিভিন্ন যুদ্ধের সময় এ রণতরী ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে উপসাগরীয় যুদ্ধে। এছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিযুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে ৭ম রণতরী পাঠায়।