বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোট সমাপ্ত হবার পর দেখা গেল বিজেপি বর্তমানে বাংলার প্রধান বিরোধী দল ।বর্তমানে দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা চলছে তো চলছেই । কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না ।একদিকে জয় শ্রীরাম তো অপরদিকে কাটমানি । আবার কোথাওবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের হাতে চা বানাচ্ছেন । কিছুদিন আগেও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে কটাক্ষ করেছেন । জনসাধারণের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য দিদিকে বল নাম দিয়ে যে সরকারি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে তা নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, “ওটা দিদিকে বলো নয়। দিদিকে হরি বলো।”
এবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এবং আসানসোলের লোকসভা বিধায়ক বাবুল কে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । আসানসোলের অগ্নিকন্যা ভবনে তৃণমূলের কর্মীসভায় তিনি বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় মাইগ্রেটরি বার্ড (মরসুমি পাখি)। সুখের সময়ে আসবে আবার দুঃখের সময়ে চলে যাবে।”
অনেকে বলেন, আসানসোলে তৃণমূল হারার অন্যতম কারণ দলের ভিতরের কোন্দল। মলয় ঘটকের গোষ্ঠীর সঙ্গে জিতেন তিওয়ারির গোষ্ঠীর ইগোর লড়াই। এ দিন সে ব্যাপারেও কর্মীসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, “একসঙ্গে কাজ করুন। কোনও ইগো রাখবেন না। সব ইগো ভুলে মানুষের সেবায় মন দিন।”
গতবার প্রথম ভোটে দাঁড়িয়ে আসানসোলে জিতেছিলেন বাবুল। তাই এ বার তৃণমূল মরিয়া হয়ে নেমেছিল শিল্পাঞ্চলের এই আসন ছিনিয়ে নিতে। বাঁকুড়া থেকে মুনমুন সেনকে তুলে এনে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে গিয়ে একাধিক সভা করেছেন। বাবুলকে ‘আন কালচারড’ বলে তোপ দেগেছেন। কিন্তু এ বারও মার্জিন বাড়িয়ে জিতেছেন গায়ক বাবুল। একাধিক ফর্মূলা প্রয়োগ করা হয়েছিল শাসক দলের পক্ষ থেকে। আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারি প্রকাশ্য সভায় দলীয় কর্মীদের অফার দিয়েছিলেন, যে যেখানে যত লিড দেবে, তেমন আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও ফর্মুলাই কাজে আসেনি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পরপর দু’বার গো হারা হেরে তৃণমূলের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছে। ববিবাবুর কথা তারই বহিঃপ্রকাশ।
তথ্যসূত্রঃ https://www.thewall.in/