পূর্ব শত্রুতার কারণে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জেপ্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুস সালাম সরদার (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিনগত রাত তিনটার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সালাম সরদার ছোট কুমারখালী গ্রামের প্রয়াত এরফান সরদারের ছেলে।
আহতরা হলেন আব্দুস ছালাম সরদারের বড় ভাই লোকমান সরদার, স্ত্রী মালা বেগম, তোরফান সরদারের ছেলে মোজাম সরদার, সলেমান সরদারের স্ত্রী মঞ্জু বেগম, ছেলে রাকীব সরদার, ইসমাইল সরদারের ছেলে শামীম সরদার, ইসমাইল সরদারের স্ত্রী রেক্সোনা বেগম, ছেলে শাহিন সরদার, শামীম সরদারের স্ত্রী জান্নাতী বেগম।
স্থানীয় থানার পুলিশ জানায়, ছোট কুমারখালী গ্রামের কবির মোল্লার সাথে সালাম সরদারদের পরিবারের জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার দিনগত রাত তিনটার দিকে কবির মোল্লার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সরদার বাড়িতে এসে প্রথমে দরজা জানালা ভাংচুর চালায়। এতে এই পরিবারের পাঁচজনসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুস ছালাম সরদারের স্ত্রী মালা বেগম ও চাচাতো ভাই সলেমান সরদার বলেন, বিএনপির আমলে কবির মোল্লাসহ কয়েকজন আমাদের বাগান বাড়ি দখল করে নেয়। এরপরে ওই জমি ফেরত নিতে চাইলে, পরিকল্পিত ভাবে রাতের আধারে ৬টি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতেই তাদের এ তান্ডব। আমরা এর বিচার চাই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিন জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই গ্রামের সরদার ও মোল্লা পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হামলায় জড়িত মন্টু মোল্লা ও জাফর শেখকে আটক করেছি। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।