সাগর রুনি হত্যা কান্ড বাংলাদেশের একটি আলোচিতি হত্যা। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা হয়। প্রখ্যাত এই সাংবাদিক দম্পতি ঢাকার নিজবাসভবনে নিহত হন। গত সাত বছরে ৬৩ বার নিয়েও আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারেনি। সাগর রুনি মামলায় তদন্তের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম ব্যর্থতার পরিচয় পাওয়া যায়।
হত্যাকান্ডের সময় সাগর সরোয়ার মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। এ হত্যাকান্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বাসায় ছিল তখন সাংবাদিক দম্পত্তির একমাত্র ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘ। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ কালে বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের মধ্যে কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেনি।
এখন সাগর-রুনি হয়ে গেছে রূপকথার গল্প। সাংবাদিক ও দেশ বাসীর কাছে বলতে হবে একদা বাংলাদেশে সাগর-রুনি নামে এক সাংবাদিক দম্পত্তি ছিলেন। তাদের একদিন হত্যা করা হয়। সে হত্যার সময় তাদের একমাত্র ছেলে খুব ছোট ছিল।