বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: অপেক্ষা নিবারণে আর বেশী দেরি নেই, খুব শীঘ্রই কৈলাশ ছেড়ে বাপের বাড়ির দিকে রওনা দেবেন উমা। তারপর পরপর পাঁচদিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ির ভালোবাসা নিয়ে আবার ফিরে যাবেন কৈলাশে। প্রতিবছর এই পাঁচ দিনের জন্য সমস্ত দুঃখ-কষ্ট, ব্যস্ততা ভুলে বাঙালী মেতে ওঠে শারদীয়া’র আনন্দে।
ইতিমধ্যেই পুজোর কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে ৯০ শতাংশ বাঙালী। সবার মনে একটাই আনন্দ, মা আসছে! কিন্তু, সত্যিই কি আনন্দে কাটবে পুজোর কটা দিন? কি বলছে গণনা।
দিন দিন আবহাওয়ার পরিস্থিতি যত বিগড়াচ্ছে, ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে বাংলা’র ছয় ঋতুর সময়সীমা, এমনটা আমরা নিজের চোখেই দেখছি। এই যেমন চলতি বছরের বর্ষা’র কথাই বলা যাক। গ্রীষ্মের পরেই বাংলায় বর্ষা আসে, কিন্তু আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণের মাঝেও বর্ষা’র দেখা মেলেনি চলতি বছরে। বর্ষার অভাবে ইলিশপ্রেমী বাঙালী ইলিশের স্বাদ মুখে নিতে পারেনি। একারণে অনেকেই অনুমান করছিলেন, আগামী দুর্গাপুজো’র সময়ই ঝেপে বর্ষা নামবে, ফলে সবার পুজোর আনন্দ মাটি! কিন্তু বর্তমানে তেমন কোনও সম্ভাবনা আর দেখা যাচ্ছেনা, ভাদ্র মাসেই বর্ষা নিজের খেলা সাঙ্গ করবে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু দুশ্চিন্তা আরও একটা আছে।
বহুকাল ধরেই পুঁজি-পাথি’র প্রচলন দেখা যায় বাংলা’য়, এমনকি মা দুর্গা’র আগমন-প্রত্যাগমনের সাথেও এধরণের কিছু গণনা জড়িয়ে আছে। মা দুর্গা’র প্রকৃত বাহন সিংহ হলেও মর্ত্যে আসবার সময় কখনই কোনও একটি মাধ্যম ব্যবহার করেন না তিনি, কখনও দোলনা’য় তো কখনও গজের পিঠে, আবারও কখনও কখনও ঘোড়ায় চেপেও আসেন; আর এই হিসাবের ভিত্তিতেই মর্ত্যের অবস্থা গণনা করা হয়।
পুঁজি মতে এবছর মা দুর্গা’র মর্ত্যে আগমন ঘটবে ঘোড়ায় চেপে, আবার প্রত্যাগমনও ঘটবে একই মাধ্যমে। একারণে এই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন গণনাবিদ’রা। কারণ ঘোড়ার পিঠে চড়ে আসা টা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। চরম অসামাজিক পরিস্থিতি কিংবা যুদ্ধের সংকেত হিসাবে ধরে নেওয়া হয় এটাকে। পাশাপাশি, এবছর মা দুর্গা’র কৈলাশে প্রত্যাগমনও ঘটবে ঘোড়ায় চেপেই। অর্থাৎ, মা ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে ছারখার হয়ে যাবে মর্ত্য, এমনটাই আশঙ্কা!