বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে এই মুহুর্তে আলোচিত ঘটনা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা কান্ড। ফাহাদ হত্যা কান্ডে সম্পৃক্তদের প্রশাসন দ্রুততম সময়ে আটক করে এবং বিচারের সম্মুখিন করেন। আরবার হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন সোস্যাল মিডিয়া লেখেন, আরবার অফিসিয়ালি শিবির না করলেও শিবিরের মতো চালচলন আর চিন্তা ভাবনা ছিল তার। তাতে কী! শিবিরদেরও বাঁচার অধিকার আছে। তাকে যারা পিটিয়েছিল, আমার বিশ্বাস, মেরে ফেলার উদ্দেশে পেটায়নি। কিন্তু মাথায় আঘাত লেগেছে, মরে গেছে। আবরার ফাহাদ মেধাবী ছিলেন না বলেও মনে করেন এই লেখিকা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ জাতীয় কথা লেখায় বিতর্ক তৈরি হয়। তসলিমা নাসরিনের পোস্টের বিরোধীতা করে আসিফ নজরুল লেখেন, তসলিমা নাসরিনের শিবলিঙ্গ পুজোয় সমস্যা নাই, সমস্যা আছে আবরারের নামাজ পড়া নিয়ে। এই বিকারগ্রস্থ নারীকে নিয়ে কখনো লিখিনি আমি। কিন্তু তার একথার উল্লেখ প্রয়োজন হলো এটা বলতে যে বাংলাদেশের বহু ছদ্মবেশী সেক্যুলারের আসল চেহারা তসলিমার মতো। কেউ আল্লাহ লিখলে তাদের সমস্যা হয়, ভগবান বা ঈম্বর লিখলে ঠিক আছে। আরও কতো কিছু! অথচ সেক্যুলার (অসাম্প্রদায়িকতা অর্থে) মানে হচ্ছে সব ধর্ম সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল থাকা অথবা কোন ধর্ম সম্পর্কেই বিরূপ মন্তব্য না করা। যারা একচোখা হয়ে শুধু একটা ধর্মে সমস্যা খোঁজে, তারা সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক ও মানবতার শত্রু।
উল্লেখ্য সদ্য প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারত বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করে সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট দেন আবরার ফাহাদ। ধারণা করা হচ্ছে তার এই পোস্ট নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন ও তদন্তাধিন থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু না জানানয় সঠিক তথ্য বলা যায় না।