বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্যতম বির্তকিত ব্যক্তি এইচ এম এরশাদ। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করেন। তারপর থেকেই তিনি এক নায়ক হিসাবে দেশ পরিচালনা করেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবে ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত কয়েক দশক ধরে এরশাদ একটি আলোচিত নাম। কখনো তিনি আওয়ামিলীগের সাথে আবার বিরোধী ঘরানা বিএনপির সাথে।
রাজনৈতিক মঞ্চে তার অবস্থান ছিল অনেকটাই জরুরী। তাকে না হলে পূর্ণতা পেত না। সেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে গত ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ২৩ আগস্ট তার মৃত্যুর ৪০ দিন ছিল।
এরশাদের মৃত্যুর দিনই তার চেহলাম অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়। দেশের অন্যতম হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা থাকায় ৩১ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জাতীয় পার্টি তথ্য মোতাবেক জানা যায়, রংপুর শহরের ১৬টি স্থানে চেহলাম হবে। তার মধ্যে এরশাদের বাসভবন পল্লীনিবাসে দোয়া মাহফিল ও চেহলামে উপস্থিত থাকতে পারেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। এতে দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও রংপুর-৩ আসনের অর্ধডজন মনোনয়নপ্রার্থী উপস্থিত থাকতে পারেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও চেহলামের জন্য রংপুরসহ সারা দেশের সব ইউনিটে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রংপুরে জাতীয় পার্টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ হাজার পরীক্ষিত নেতাকর্মী চেহলামে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীকে চেহলামের স্পটগুলোতে উপস্থিত হয়ে ধৈর্যসহকারে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং তবারক গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সারাদেশের মত বাগেরহাট এ এরশাদের চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের জাতীয় পার্টির জেলা পর্যায়ের নেতা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।