বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর পার্টি অফিস গুলিতে দুষ্কৃতীদের হামলা অব্যাহত । গতকাল সন্ধ্যায় উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গোলাগুলি চলেছিল । সেই দুষ্কৃতী হামলায় আহত হয়েছিলেন 2 জন তৃণমূল নেতা । ঘটনার পরে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে । আজ সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশ টহল দিতে শুরু করেছে । মধ্যমগ্রামের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও মুল অভিযুক্ত রাখাল নন্দী এখনও অধরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের আজ বারাসাত আদালতে তোলা হচ্ছে।
মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজারে তৃণমূল পার্টির যে দলীয় কার্যালয় রয়েছে, সেখানে গতকাল সন্ধ্যা বেলায় হঠাৎ করে তিন জন দুষ্কৃতী এসে বোমাবাজি শুরু করে । বোমাবাজির পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে । এরপর বাইকে করে তারা পালিয়ে যায় । দলীয় কার্যালয় তখন উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং ওরফে রিঙ্কু । অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান । বিনোদ সিং এর মাথা ঘেঁষে গুলি চলে গেলেও বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি । তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং ছাড়াও দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আরও এক তৃণমূল নেতা দীপক বসু । তিনিও আহত হয়েছিলেন । বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন ।
পুলিশ এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত রাখালকে এরেস্ট করতে পারেনি । এই হামলা রাজনৈতিক কিনা তা পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছে । মূল অভিযুক্ত রাখাল আগে তৃণমূল করলেও এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় আছে বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি । তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই । তারা উল্টে দাবী করেছে, তৃণমূলের দলের কোন্দলেই নিজেদের মধ্যে হামলা হয়েছে, এবং সেটা ঢাকতে বি জে পি কে দোষারোপ করছে ।