বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যু’কে ঘিরে সমস্যা পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগেই ভারত সরকারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করল ভারতের আরও পাঁচ’টি রাজ্য। গতকাল নয়া দিল্লী’তে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের পাঁচটি রাজ্যের মানুষ নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিতে জমায়েত হয়।
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি কতৃক সাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়। ভারত সরকার কতৃক গৃহীত এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তবে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে মোটেই খুশী হননি জম্মু-কাশ্মীর এর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা, তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানান। একারণে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের এই সকল নেতাকে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে।
এছাড়াও, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। যেহেতু কাশ্মীর ভারত এবং পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী একটি ঐতিহাসিক সমস্যা, সেকারণে তাঁদের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন’ও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারত সরকারের নিন্দা করেছে। একারণে শুক্রবার(১৬ই আগস্ট) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে নিয়ে নিরাপত্তা পর্ষদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে পোল্যান্ডে।
এই সমস্যার মধ্যেই গতকাল নয়া দিল্লী’তে নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে জমায়েত করে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের পাঁচটি দেশ। এই দেশ’গুলির মধ্যে রয়েছে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম এবং আসাম।
বহুদিন ধরেই নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, আসাম এবং মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে স্বাধীন ‘নাগালিম’ গড়ে তোলার দাবি জানায় ওই সকল এলাকার বাসিন্দা’রা। এখন সুযোগ বুঝে তারাও নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়ে ভারত সরকার’কে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। একারণে এইদিন নয়া দিল্লী’তে তাদেরকে নিজেদের নাগা জাতীয় পতাকাও ওড়াতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭১ ধারা’র কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে ভারতের এই পাঁচ রাজ্য।