বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবার এক অভূতপূর্ব নজির ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে রাজ্যবাসী ।এত দিন শোনা গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্টিকেট করা হয়, কিন্তু তাই বলে “রাজ্যপাল” ! হ্যা, এবার রাজ্যপালকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে কটাক্ষ করে রাস্টিকেট করার চিঠি দিল যাদবপুরের ছাত্র সংগঠন।
বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং শাসক দল তৃনমূলের ভিতরকার সংঘাত নতুন কিছু নয় । এর আগেও পারস্পারিক সংঘাতে অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে তাদেরকে । কিন্তু এবার রাজ্যপালের সঙ্গে যাদবপুরের পড়ুয়াদের বিরোধ ইস্যুতেই যোগ পেল নতুন মাত্রা । যাদবপুরের পড়ুয়ারা চিঠিতে রাজ্যপালকে ‘প্রাক্তন চ্যান্সেলার’ হিসেবে উল্লেখ করে তাঁকে ‘রাস্টিকেট’ করার বার্তা দেয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যপালের গাড়ি যাদবপুর চত্বরে প্রবেশের সঙ্গে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। দেড় ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরপর তিনি ফিরে গেলে ফাঁকা চেয়ারেই শুরু হয় যাদবপুরের সমাবর্তন। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা জানান , ‘আগেও আচার্য ছাড়া সমাবর্তন হয়েছে। এর নিয়মও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে রয়েছে। তাই এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে।’ তাঁরা ছাত্রদের সম্মান প্রদানে দেরী করতে চান না বলে জানিয়ে দেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি রাজ্য পাল জগদীপ ধনকড়কে উদ্দেশ্য করে পাঠানো হয় । সেখানে রাজ্যপালের কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয় । বিশেষ করে এনআরসি, সিএএ নিয়ে রাজ্যপালকে পড়ুয়ারা সোমবার যে প্রশ্ন করেছিল তাঁর উপরেই দাবিগুলি জানানো হয় । কিন্তু ছাত্র সংগঠনের দাবি, রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কোন সন্তোষজনক জবাব তারা পায়নি । পাশাপাশি যাদবপুরের ছাত্ররা এক প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যপালকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন, ওই বিষয় তিনি অবগত নন।
এবার যাদবপুরের ছাত্র সংগঠন রাজ্যপালের মুল্যায়ন করল । রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডে তারা উল্লেখ করেছে, রাজ্যপালের রাজ্যপালের সাধারণ জ্ঞান সন্তোষজনক নয় ও ইতিহাসের জ্ঞান শূন্য । শুধু তাই নয়, তারা তাদের রিপোর্টে রাজ্যপালকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ ও বলা হয়। এর পাশাপাশি বিস্ফোরক চিঠিতে পড়ুয়ারা দাবি করে ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালের উপস্থিতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা ও বোমাও ছোঁড়া হয়। একই সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয় মহিলাদেরও। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজে কি সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য ।