সারা ভারত যখন “হিন্দু-মুসলিম” বিভাজন নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে বিধ্বস্ত। দেশ ভাগের আগে থেকে এখনও অবধি এই দুই ধর্মের মধ্যে মিলের বদলে হয়ে এসেছে দাঙ্গা।রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা যে বিষয়টিকে নিয়ে চিরকাল করে এসেছে রাজনীতি। সেই হিন্দু- মুসলমান বিভাজনের বদলে ভালোবাসার নতুন রূপ দেখল ভারত।
যে অযোধ্যা রাম-মন্দির এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সাক্ষী।সাক্ষী গুজরাট দাঙ্গার সেই অযোধ্যাতেই রাম মন্দিরে পালিত হল মুসলিমদের ইফতার অনুষ্ঠান।অযোধ্যা বিতর্কে প্রলেপ দিতে এবার নিজেরাই এগিয়ে এলেন অযোধ্যাবাসি। সোমবার অযোধ্যার ৫০০ বছরের পুরনো সরজু কুঞ্জ মন্দিরে মুসলিম রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করলো হিন্দু সন্ন্যাসীরা।এই মন্দিরের থেকে একটু দুরেই অবস্থিত বিতর্কিত রাম জন্মভূমি এলাকা।কোনও রকম রাজনৈতিক দল বাদ দিয়েই ইফতারের আয়োজন করলো সন্ন্যাসীরা। এই অনুষ্ঠানে যাতে রাজনৈতিক রঙ না লাগে তাই ৭ তম দফা ভোটের পরই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলাকা বাসি।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো যে সাধারণ মানুষ দাঙ্গা অশান্তি চায়না। তারা চায় শান্তি ও সম্প্রীতি। মোহান্ত যুগল কিশোর শরণ শাস্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতেই এই অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।