ঐতিহাসিক আয়োজক এবং জাক-জমকপূর্ণ পুজা আর্চনা হয় এই শিকদার বাড়ির শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে। এর অবস্থান বাহগেরহাটের হাকিমপুর গ্রামে। গত (৬টি) বছরগুলোতেও এই আয়োজন এবং শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান বজায় রেখেছিল। এই পুজায় শিকদার পরিবার তাদের হৃদয়ের সর্বস্ব উজার করে দিয়ে যাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। এই শ্রেষ্টত্বের অবস্থান সৃষ্টির প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছিল জনাব ডা: দুলাল শিকদার এবং রমা শিকদার এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভগবানের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং ভালবাসার তাগিদে।
হাকিমপুরের শিকদার বাড়ীর দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ এ বছরও চলছে যথারীতি। গত বৈশাখ মাস থেকে চলছে এ পূজার প্রস্তুতি। এরই মধ্যে হাকিমপুর শিকদার বাড়ির পূজা মন্ডপের সভাপতি ডা: দুলাল কৃষ্ণ শিকদার পরলোক গমন করেছেন। তিনি মারা যাবার পর এ মন্দিরের হাজার হাজার দর্শক ও ভক্ত আগামী পূজা উৎসব কিভাবে বা পূর্বের মতো হবে কিনা এমন সন্দিহানে রয়েছেন।
বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় এর নেতৃত্বে ১৫জন ভাস্কর দিন রাত অকান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরীর কাজ করে চলছে। গত বছর এ মন্ডপে প্রতিমার সংখ্যা ছিল ৭০১ টি। এ বছরও প্রতি বছরের ন্যায় ৫০ টি প্রতিমা বাড়িয়ে ৭৫১ টি করার পরিকল্পনা থাকলেও ডা: দুলাল কৃষ্ণ শিকদার পরলোক গমন করায় তার স্মরণে ১০০ প্রতিমা বাড়িয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে শিশির শিকদার জানান।
প্রতিমা তৈরীর কাজে নিয়োজিত ভাস্কর বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে হিন্দু ধর্মের হাজার বছরের পুরাতন পৌরাণিক কাহিনীকে প্রাধান্য দিয়ে তা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মূর্তি দিয়ে। গত বছরের ৭০১ টি প্রতিমার বিশেষত্বতো থাকছেই, তারপরও আরও ১০০ নতুন প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এ বছর পুকুরের আকর্ষনীয় থাকছে অষ্টসখীর প্রতিমা।
পূজার পৃষ্ঠপোষক শিল্পপতি লিটন শিকদার এর মতে “তার বাবা ডা: দুলাল শিকদার ছিলেন তার প্রেরণা। তারই পরামর্শ ও নির্দেশনায় শিকদার বাড়িতে দূর্গা পূজা হয়ে আসছে। আজ তিনি নেই। তাই তিনি যেভাবে পূজার শুরু করে গেছেন, তার মৃত্যুর পরও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন তিনি। তার স্মরণে ও আত্নার শান্তির জন্য এ বছর আরও ১০০ প্রতিমা বৃদ্ধি করে ৮০১ টি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ”