বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছর ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় বিপুল পরিমাণ সমর্থন পেয়ে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি-র মুখপাত্র নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসান ভারতীয় জনতা পার্টি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’কে।
চলতি বছর ফের দিল্লীর সিংহাসনে বসার পর থেকে দেশবাসীকে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এসকল ক্ষেত্রে তাঁর প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এপ্রসঙ্গে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং তার পরপরই অসমে এন আর সি চালুকরণ এর কথা উল্লেখ করা যায়।
সম্প্রতি নিজের বক্তব্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অস্তিত্বের জন্য ভারতের সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই দায়ী করলেন অমিত শাহ। তিনি বললেন, “নেহরু যদি পাকিস্তানের সঙ্গে অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করতেন, তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অস্তিত্বই থাকত না। এটা নেহরুর ভুল। কাশ্মীরের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নেহরুর বদলে সর্দার বল্লভভাই পটেলের হাতে ছাড়া উচিত ছিল।” তিনি আরও বলেন, “১৯৫০-এ পটেলের মৃত্যুর পরে ভারত সরকার শেখ আবদুল্লার সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, সেটাই অনুচ্ছদ ৩৭০-এর ভিত্তি।”
বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছেন, পাকিস্তান থেকে এসে ভারতের রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন মনমোহন সিংহ, ইন্দ্রকুমার গুজরা এবং লালকৃষ্ণ আডবাণী। তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুল গান্ধীও; রাহুল’কে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “উনি বলছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পিছনে রাজনীতি রয়েছে। রাহুল বাবা, আপনি কিছু দিন হল রাজনীতিতে এসেছেন। কিন্তু বিজেপির তিন প্রজন্ম কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপের জন্য জীবন দিয়েছেন। এটা রাজনীতির কোনও বিষয় নয়। এটা ‘ভারত মা’-কে ভাগ করতে না-দেওয়ার চেষ্টা।”
কাশ্মীর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোড় দিয়ে বলেন, “এত দিন ধরে কাশ্মীরের জন্য ২.২৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকা যদি সেই এলাকায় উন্নয়নে ঠিক ভাবে খরচ হত, তা হলে কাশ্মীরের বাড়িগুলির ছাদও সোনার হত।” কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের অতীতের সরকার দুর্নীতি দমনের পরিবর্তে নিজেরাই দুর্নীতিতে ডুবে ছিলেন, একারণে উপত্যকার উন্নতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।