বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক:  ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে একইসাথে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার পৃথক পৃথক ধর্মাবলম্বী মানুষকে পাশাপাশি বসবাস করতে দেখা যায়। কিন্তু এই মহৎ ভাতৃত্বের মধ্যেও এখনও অব্দি দেশের বেশ কিছু মানুষের মনে কিভাবে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচারা দিতে পারে, সেটিই ভাববার বিষয়।

বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কষ্ট করে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার চেয়ে বাড়ি বসে সেই একই সুস্বাদু খাবার খেতে পারলে অনেকটাই সময় বাঁচে। এক্ষেত্রে অনলাইন খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্য আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি ‘জোম্যাটো’ অ্যাপ্লিকেশন। একইভাবে গত বুধবার সন্ধ্যায় ‘জোম্যাটো’-তে খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের অমিত শুক্লা। কিন্তু সমস্যা বাঁধল খবার বয়ে নিয়ে আসা ডেলিভারি বয়’কে নিয়ে।

খাবার কখন আসবে, সে নিয়ে কোনওমাত্র দুশ্চিন্তা ছিলনা অমিত বাবুর। বরং তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন এটি জানার জন্য যে, ডেলিভারি বয়’টি কোন ধর্মে‌র অন্তর্গত। এরপর যখন তিনি জানতে পারেন যে খাবার নিয়ে আসা ডেলিভারি বয়’টি জাতিতে মুসলিম, তখনই তিনি ডেলিভারি বয় বদলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন ‘জোম্যাটো’ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তার অনুরোধ রাখার বদলে উল্টো এক টুইট করে তাকে জানানো হয়, “খাবারের কোনও ধর্ম হয় না। খাবার নিজেই একটি ধর্ম।” বলা বাহুল্য, জোম্যাটো কর্তৃপক্ষের এমন মন্তব্য প্রচুর বাহবা কুড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

এরপর তার অর্ডারটি বাতিল করে দেন অমিত শুক্লা, যদিও তার জন্য টাকা ফেরত পাননি তিনি। তারপর অ্যাপটিও মুছে ফেলেন। এরপর জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দ্র গয়াল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “ভারতের বৈচিত্রের আদর্শে আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছু করার বদলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হলেও দুঃখ নেই।”

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.