পশ্চিমবাংলার এখন যা অবস্থা, তা আশির দশকের নকশাল যুগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে । রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে মারামারি, রাহাজানি, গুপ্ত খুন লেগে আছে । তখনকার সময়ে যেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকতে দেখা যেত । লোকসভা ভোটের পরে পশ্চিম বাংলার বর্তমান অবস্থা এখন সেই রকম জায়গায় দাঁড়িয়েছে ।
এবার গুলি বৃদ্ধ হলেন ব্যান্ডেলের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীমতি নিতু সিং এর স্বামী । স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, রিতু সিং এর স্বামী কেন্দ্রীয় সরকারের রেল বিভাগে চাকরি করেন । তিনি প্রতিদিন ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে যাতায়াত করেন । অন্যান্য দিনের মতো এই দিনও তিনি ব্যান্ডেল স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন । এমন সময়, দুজন অচেনা দুষ্কৃতী তাকে আটকায় এবং সরাসরি তার দিকে গুলি চালায় । একটি গুলি দিলীপ রামের মাথার পিছন দিকে লাগে । আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চুঁচুড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ।
পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, কে বা কারা গুলি চালিয়েছে সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা না গেলেও তদন্ত চলছে ।
দীলিপ বাবুর গুলিবিদ্ধ হবার ঘটনা স্বাভাবিকভাবে তৃণমূল নেতৃত্ব মেনে নেয়নি । ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতৃত্ব পৌঁছে দাবি জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে, যে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গারদের মধ্যে দেখতে না পেলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে ।
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তরফ থেকে সরাসরি অভিযোগ না জানালেও, তারা সন্ধেহ করছে দীলিপবাবুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পিছনে বিজেপির প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে । গত ২৩ শে মে যেদিন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ পায়, ঠিক সেই দিনই দীলিপ বাবুর উপরে হামলা হয় । সেই ঘটনায় লালা নামে এক ব্যক্তি জড়িত থাকার কারণে গ্রেফতার হয় । দিলীপ বাবুর স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান রিতু সিং অভিযোগ জানিয়েছে, লালা জেলে থাকলেও তার ভাইয়েরা তার কথা শুনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
পুলিশ জোরকদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে । এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি সুবীর নাগ বলেছেন, ভালো করে তদন্ত হলে দেখবেন শাসক দল এই ঘটনার সাথে যুক্ত । তিনি আরো জানিয়েছেন, যদি কোন বিজেপি কর্মী অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে দল তাকে নির্দ্বিধায় বহিষ্কার করবে ।