বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: যত ব্যাংক জালিয়াতি পৃথিবীর মধ্যে হয় তার মধ্যে খুব সম্ভবত প্রথম সারিতে রয়েছে আমাদের প্রিয় ভারতবর্ষ ।নিরব মোদী এবং কিংফিশার এর মালিক বিজয় মালিয়ার দগদগে ক্ষত এখনো রয়েছে । এর উপর আবার অভিযুক্ত হলো ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দায়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাগ্নে রসুল পুরি ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাগ্নে রাতুল পুরিকে গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে শেষ পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের জালে পড়লেন তিনি। অভিযোগ, রাতুল পুরি ব্যাঙ্ক থেকে ৩৫৪ কোটি টাকা ঠকিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সংস্থার সূত্র থেকে জানা গেছে, রাতুল পুরীর যে সংস্থা ছিল সেটির অবস্থা এখন ভালো নয় । সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতুল পরীর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করে স্বয়ং সিবিআই । তদন্ত করার পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা গিয়েছে রাতুল পুরীর কোম্পানি 2009 সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল হারে ঋণ নিয়েছে । গতকাল সংস্থার ছটি অফিসে তল্লাশি করা হয়েছে ।এফআইআরে যাদের নাম আছে, তাঁরা হলেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপক পুরি ও তিন ডিরেক্টর নীতা পুরি, সঞ্জয় জৈন ও বিনীত শর্মা। মোসার বেয়ার সংস্থাটি কমপ্যাক্ট ডিস্ক, ডিভিডি ও আরও কয়েকটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরি করত।
রাতুল পুরির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে তদন্ত চলছে। কর ফাঁকি দেওয়া থেকে শুরু করে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেংকারিতে তিনি অভিযুক্ত। সোমবার ইডি দিল্লির আদালতে বলে, রাতুল পুরি গ্রেফতারি এড়াচ্ছেন। তার আগে শনিবার কমলনাথের ভাগ্নে আদালতে বলেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে চান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করতে হবে।
অভিযোগ, ২৬ জুলাই রাতুল পুরি তদন্তকারীদের হাত ফসকে পালিয়ে যান। তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। এমন সময় তিনি বলেন, টয়লেটে যেতে চান। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। তারপরে ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী আদালতে আর্জি জানান, তাঁকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। গত ৬ অগাস্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তবে কোর্ট বলে সোমবার অবধি তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।