বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মাত্র দুই দিন হল নেপালের প্রধান মন্ত্রী ওলি দাবী করেছিলেন ভগবান শ্রী রাম নাকি নেপালি ছিলেন ! আর রাম জন্ম ভুমি অযোধ্যা নয়, বরং নেপালেই ছিল । এবার অযোধ্যায় অনশন ও অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। বললেন, এ জমি বৌদ্ধদের।বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দাবী, অযোধ্যার খননকার্য হোক ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে।
হিন্দু-মুসলিম দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক করার পর অবশেষে অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল । কিন্তু ফের অযোধ্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেল । অযোধ্যা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভরত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দাবি, রাম জন্মভূমি সাইটের জমি সমতলকরণের সময়ে যা যা উদ্ধার হয়েছে তা জনসাধারণের সামনে পেশ করতে হবে।
মে মাসে খননকার্যের সময়ে একটি শিবলিঙ্গ, সাতটি কালো স্পর্শ পাথর, ছয়টি লাল বেলেপাথরের স্তম্ভ, একটি ফুলের চূড়া এবং দেবদেবীদের চারটি ভাঙা প্রতিমা পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ট্রাস্টের। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দাবি করেছেন, দ্য ইউনাইটেড নেশনস্ এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যাড কালচারাল অরগানাইজেশন (ইউনেস্কো) এই জমিটি খনন করবে। তাঁদের মতে, যে জিনিসগুলি পাওয়া গিয়েছে, তা বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্তর্গত এবং রামমন্দির তৈরির কাজ এখুনই বন্ধ করতে হবে। বৌদ্ধদের মতে, অযোধ্যা আদপে সাকেতের একটি প্রাচীন শহর। প্রাচীন যুগে এটিই বুদ্ধধর্মের কেন্দ্রভূমি ছিল।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিক্ষোভ করে আরও জানান, ‘আমাদের স্মারকলিপিগুলি অযোধ্যা প্রশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলিতে পাঠিয়েছি। যদি এক মাসের মধ্যে রাম মন্দির নির্মাণকার্য বন্ধ না হয় এবং খননকার্যের জন্য ইউনেস্কোকে নিযুক্ত না করা হয়, তবে আমরা ফের আন্দোলন শুরু করব।‘ আজাদ বৌদ্ধ ধর্ম সেনার সদস্য একথা জানালেন। এর প্রত্যুত্তরে ফৈজাবাদ সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এসপি সিং বললেন, ‘আমরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের স্মারকলিপিগুলি পেয়েছি এবং আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে এটি পাঠিয়েও দেব, আমরা যে আশ্বাস দিয়েছি, আপাতত তার ভিত্তিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের অনশন ও বিক্ষোভে ইতি টেনেছে।’
তবে এত দিন পর হঠাৎ করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অযোধ্যা নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখে অনেকেই চীনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন । কিছুদিন আগে নেপালের প্রধান মন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি দাবী করেছিলেন, রাম জন্মভুমি নাকি অযোধ্যাতে ছিল না, ছিল নেপালে । যদিও চীন সরকার দ্বারা বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার । এবার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দাবী দেখে অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলছেন ।