বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পেঁয়াজের দাম যেন কিছুতেই কমছেনা। সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠিয়ে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি। এবারে মানুষের খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম।
বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে যে ঋতু পরিবর্তন হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে শুরু করে উৎপাদনেও। কখনও হচ্ছে খরা কখনও হচ্ছে বন্যা। কখনও হচ্ছে দাবানল এবং ভূমিকম্পতো প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খরার ফলে কৃষিপ্রধান দেশ গুলি যেমন বিপদে পড়েছে তেমনই অতি বৃষ্টির ফলেও শষ্যের উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। অতি বৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে খারিফ শষ্যে। এর ফলে সয়াবিন তেলের যেমন দাম বেড়েছে তেমনই দাম বেড়েছে সর্ষের তেল এবং পাম তেলের।
সয়াবিন তেলের দাম কুইন্টাল প্রতি বেড়েছে ৪০০ টাকা এবং সর্ষের তেলের দাম বেড়েছে কুইন্টাল প্রতি ৩০০ টাকা। এছাড়াও এর পাশাপাশি মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকেও আমদানি হয় এইসব তেল। তবে জানা যাচ্ছে যে, যেহেতু ভারত ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি করে এবং এই পাম তেল থেকে তৈরি হয় ভোজ্য তেল। তারফলে এই দুটি দেশের বায়োফুয়েলের প্রকল্পের কারণে যেসব তেল আমদানিজাত, সেইসব তেলের পরিমাণ কমেছে। যারফল স্বরূপ দাম বাড়ছে পাম তেলের। এছাড়াও জানা যাচ্ছে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় হচ্ছে বিভিন্ন নতুন প্রকল্প। আর এই সব নতুন নতুন প্রকল্পের কারণেও বাড়তে পারে দাম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই দুর্মূল্যের বাজারে সব জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষের প্রায় না খেতে পেয়ে মরার জোগাড় হচ্ছে। পেঁয়াজের পর যদি ভোজ্য তেলেরও দাম বারে তবে সাধারণ মানুষের হেঁসেলে যে কড়া পড়বে সে বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।