বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ভারতের যে কোন বিষয় নিয়ে তার প্রতিবেশী দেশ গুলোর মতামত সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসামের নাগরিক গণনার চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সাথে প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মন্তব্য করেন। তারই পাশাপাশি বাংলাদেশের যোগাযোগ সড়ক মন্ত্রীর পর এবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার মতামত প্রকাশ করেন।
আসামের নাগরিক গননার তারিকা প্রকাশের পর আসামের অর্থমন্ত্রী বলেন, “মিত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব রাখবেন, এ রাজ্যের এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় নাম না ওঠা নাগরিকদের সে দেশে থাকতে দেওয়ার জন্য।“ এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, তিনি যত দূর জানেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে যাননি।
তবে সংবাদমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, আমি শুনেছি যে আসামের এনআরসি তালিকা ঘোষণা শুরু হয়েছে। এটা একেবারেই ভারত সরকারের নিজস্ব বিষয়। এ নিয়ে আমাদের কোনও কিছুই করার নেই।”
প্রসঙ্গত গত শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা ও আসামের মন্ত্রী এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের মিত্ররাষ্ট্র। তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। অবৈধ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে তারা প্রত্যেক বারই তাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন সে রকমই কত জন বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ নাগরিক আছেন, সেটা চিহ্নিত করার সময় হয়েছে।”
ভারত বাংলাদেশ বন্ধু প্রতীম দেশ আসামে বাংলাদেশি প্রবেশের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মনে করেন “আসামে অনেক বাঙালি আস্তানা গেড়েছেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেউ যায়নি।” ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, “যে দিন থেকে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, ভারত আমাদের সঙ্গে আছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দুর্দান্ত। ভারত আমাদের বন্ধু। কিন্তু এনআরসি নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, ১৯৭১-এর পরে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে যাননি। আমার মনে হয় না, ভারতও বাংলেদেশের দিকে কাউকে ঠেলে দেবে।”
প্রসঙ্গত গত শনিবার আসামের প্রকাশিত তালিকায় ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম ওঠেনি। তবে নাম না ওঠা ব্যক্তিদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তারা ১২০ দিনের মধ্যে ফরেন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে বৈধ নথি থাকলে তাদের নাম উঠবে। তবে ১৯৭১ সালের পর কোন বাংলাদেশি আসামে অনুপ্রবেশ করলে তারা সমস্যায় পড়বে।