বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: নুসরাত জাহান বাংলা চলচ্চিত্রের সাথে ভারতীয় রাজনীতির এক পরিচিত নাম। অভিনয় জীবনে দর্শকদের হৃদয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে জনগনের হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। তারই পাশাপাশি নুসরাতের বিভিন্ন কাজের আলোচনা সমালোচনা লেগেই থাকে। ভক্ত অভক্ত সব শ্রেণীই যেন খুজে ফেরে নুসরাত কোন ধর্মের। নুসরাতের মা একজন অভিনেত্রী তার পাশাপাশি ফুফু তারিন জাহান বাংলাদেশের সফল অভিনেত্রী ছিলেন। কিছুদিন আগেই তুরস্কে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে হয় নুসরাত জাহানের। বিয়ের পরই সংসদে ‘নুসরাত জাহান রুহি জৈন’ হিসেবে শপথ পাঠ করেন বসিরহাটের সাংসদ। নুসরাতের বেশভূষা নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘আপত্তি’ তুলেছেন দেওবন্দের এক মৌলবী।
নুসরাতের বিয়ের পর এই প্রথম দুর্গাপুজা। তিনি যে বিশেষভাবে দুর্গাপুজা পালন করবেন তা সবাই আন্দান করেছিল। মহাষ্টমিতে স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্জলি দিয়েছিলেন নুসরাত। পাশে দেখা গেল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সাবেকী সাজে নিষ্ঠাভরে অঞ্জলি দেওয়ার পর ঢাক বাজিয়েছিলেন নিখিল। তবে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সাথে সাথে গানের তালে মেতে খানিক কোমরও দুলিয়েছেন নব পরিণীতা নুসরত। এককথায় জমজমাট মহাষ্টমী কাটিয়েছেন নবদম্পতি। আর ঠিক সেই কারণেই ফের মৌলবাদীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে এই তারকা সাংসদকে। অভিনেত্রীর উপর জারি হয়েছে ফতোয়াও।
দুর্গাপুজো করা ইসলামের অপমান। একজন ইসলাম ধর্মালম্বী হয়ে কী করে তিনি পুরোপুরি বাঙালিয়ানায় মেতে দুর্গা আরাধনা করতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছেন মৌলবাদীরা। তাঁদের কথায়, “একজন মুসলমান কোনও ভাবেই অন্যান্য ধর্ম অনুসরণ করে তাঁদের দেবদেবীদের পুজো করতে পারেন না! আর যদি সেরকম কিছু করা হয়, তাহলে তা ঘোর ইসলাম বিরোধী। তা ‘হারাম’ বলে গণ্য হয়। তবে নুসরত এক ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের ঘরে জন্মে সব কিছুর উর্দ্ধে গিয়ে নুসরত দুর্গাপুজো করেছেন, অঞ্জলি দিয়েছেন। যা ইসলামের চোখে রীতিমতো অপরাধ বলে গণ্য হয়! নুসরত ইসলাম ধর্মকে অপমান করেছেন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ফতোয়া জারি প্রসঙ্গে নুসরত বলেছিলেন, “একজন হিন্দুকে বিয়ে করা মানে এই নয় যে আমি আমার মুসলিম সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি। মুসলিম পরিবারে জন্মেছি। আর সেই আভিজাত্যই বজায় রেখে যাব। কিন্তু অন্য ধর্মকে সম্মান করাতে তো দোষের কিছু নেই!” কেন ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা? প্রশ্ন তুলেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান জৈন।