বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ক্রমেই কোন ঠাঁসা হয়ে পড়ছে চীন । ভারতের পর এবার জাপানেও চীন বিরোধী সুর চড়া হতে শুরু করেছে । ইতিমধ্যেই চিন বিরোধী সুরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে জাপানের শাসক দলের পক্ষ থেকে । ফলে চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের জাপান সফর ঘিরে দেখা দিয়েছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন ।
গত বছর নভেম্বরে প্রথম চিনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় । তারপর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই মারন ভাইরাস । বর্তমানে অনেক দেশেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে । আমেরিকাসহ বেশ কিছু দেশ আগেই চীনের দিকে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেছিল যে চীন করোনা নিয়ে আগাম সতর্কতা কিম্বা তথ্য লুকিয়ে গেছে । এদিকে ২০০৮ সালের পরে প্রথম জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের। কিন্তু বর্তমানে জাপানের শাসক দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে চীন বিরোধী বিক্ষোভ । ফলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে এ বিষয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তাই টোকিওর তরফে এই সফর বাতিল করার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সাথে চীনের আলোচনা চললেও গত মাসের ১৫ তারিখে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে থেকেছে । ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতি মধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশের সমর্থনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । আমেরিকা সরাসরি ভারতের পাশে থাকার কথা না বললেও, ইসরায়েল ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে । দুই দিন আগেই জাপানের পক্ষ থেকে লাদাখ নিয়ে ভারতের দিকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে জাপান । এবার নিজেদের দেশের শাসক দলেই শুরু হয়েছে চীন বিরোধী স্লোগান ।
অনেকেই ধারনা করছে সম্প্রতি পাস হওয়া চিনের সুরক্ষা আইন হংকংয়ে জাপানিজদের এবং জাপানি কোম্পানিদের অধিকার খর্ব করতে চলেছে।পাশাপাশি করোনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করে চীন আক্রমনাত্মক কূটনীতি এবং হংকংয়ের উপর আরও ক্ষমতা কায়েম করার চেষ্টা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে । যে কারণে লাল চিনকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে জাপান। এদিকে বর্তমানে হংকংয়ে ১৪০০ জাপানি কোম্পানির অস্তিত্ব রয়েছে এবং দীর্ঘদিন যাবত জাপান থেকে কৃষিজাত দ্রব্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করে আসছে হংকং। জাপানের ব্যাবসায়িক কমিউনিটি মনে করে করছে চিনের নতুন আইন হংকংয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠানকে নাড়িয়ে দেবে। ব্যপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জাপান।
চীন যে নতুন বানিজ্য নীতি আরোপ করতে চলেছে তাতে আগামী দিনে বেশ কিছু কাপানি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যাপকভাবে এমনটাই ধারনা করা হচ্ছে । অনেক জাপানীই মনে করছেন এভাবে নয়া নির্দেশিকা জারি করে প্রকৃত পক্ষে হংকংয়ে জাপানিদের স্বাধীনতা ভঙ্গ করছে চীন ।
তবে একদিকে আমেরিকার পর ভারত যেভাবে একের পর এক বানিজ্য বাতিল ঘোষণা করছে তাতে আগামী দিনে বেশ বড় আর্থিক ধাক্কা খাবে চীন । অন্য দিকে করোনা ভাইরাসকে ঠিকমত বিশ্বের সামনে তুলে না ধরার কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে । ফলে আগামী দিনে চীনের কাছে বিভিন্ন দেশ যে বিশাল অংকের ক্ষতিপুরন দাবি করেছে সেই দাবি আরও জোরাল হবে । ফলে চীন এখন উভয় সঙ্কটের মধ্যে ।