বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মহা ধুমধাম করে বিয়ে তো সারলেন, কিন্তু বিয়ের পরে যে এমন আইনি জটিলতায় ফেসে যাবেন সে কথা স্বপ্নেও ভাবেন নি তিনি । হ্যাঁ, এখানে বাংলাদেশের ক্রিকেত টিমের নিয়মিত সদস্য সৌম্য সরকারের কথা বলা হচ্ছে । জানা গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে হরিণের চামড়া ব্যবহার করার জন্য সৌম্য সরকারকে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে ।
সৌম্য সরকারের বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রচার চলছিল পুরোদমে । সৌম্য সরকার বিয়ের আগে থেকেই তার হবু স্ত্রী পূজাকে নিয়ে নানা ধরনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে । বিয়ের দিনেও নানা বিতর্ক, সমালোচনা, এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বিয়েতে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব ঝামেলার মধ্য দিয়ে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না সৌম্য ও তার পরিবারের। সবার শেষে বিপত্তি বাঁধল হরিণের চামড়া নিয়ে। গত বুধবার রাতে খুলনা ক্লাবে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সাথে সৌম্য সরকার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে হরিণের চামড়া ব্যবহারের কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে সৌম্যকে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ইত্তেফাকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়া ব্যবহার করায় নানা সমালোচনার পাশাপাশি আইনি ঝামেলাতেও পড়তে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সৌম্য সরকার এবং তার পরিবার। ইতি মধ্যে, ওই ঘটনার তদন্তে ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিককে সাতক্ষীরায় সৌম্য সরকারের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষ করে এর প্রতিবেদন অফিসে জমা দিলেই প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে ।
এদিকে বিয়েতে হরিণের চামড়া ব্যবহার করা নিয়ে সৌম্যের বাবা সাতক্ষীরার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এটি আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন। চামড়াটি মূলত প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি বহু পুরনো। যুগ যুগ ধরে তা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বংশানুক্রমে সেটি পেয়েছি। তবে বাংলাদেশের আইন বলছে, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী, লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ব্যক্তির কাছে বন্যপ্রাণী, বন্যপ্রাণীর অংশ পাওয়া গেলে অথবা বন্যপ্রাণী থেকে উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয়, আমদানি-রফতানি করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিন বছরের সাজা অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা।