অবশেষে শিক্ষিকা হত্যা মামলার সত্যতা প্রকাশ্যে এলো ।গত 21 শে জুলাই চাঁদপুর শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী কীভাবে মারা গিয়েছিলেন এবং কারা অভিযুক্ত সেটা আজ বিকালে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করল পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ।
ষোলঘর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়াটারে সপরিবারে বসবাস করতেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব সহকারী অলোক গোস্বামী এবং তাঁর স্ত্রী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী । ঘটনার দিন ২১শে জুলাই দুপুর বেলায় স্টাফ কোয়াটারে একাকী ছিলেন শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী । সেই সময় কেবল লাইনের লাইন ম্যান জামান হোসেন ও আনিছুর রহমান তাঁকে ঘরের ভিতর লাগাতার ধর্ষণ করে এবং তাঁর পর প্রমান লোপাটের জন্য ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে । সেই হিসাবে থানায় মামলা দায়ের করা হ্য় ।
এই হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার চাঁদপুর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর অনুপ চক্রবর্তী ২৪ জুলাই রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জামাল হোসেনকে শহরের ষোলঘর হোটেল আল-রাশিদা এলাকায় তার বাসা থেকে এরেস্ট করেন । পরে অপর অভিযুক্ত আনিছুর রহমানকে ষোলঘর পাকা মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত তার বাড়ি থেকে এরেস্ট করেন ।
পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন আসামি জামালের দেওয়া জবানবন্দি নেন । জবানবন্দিতে অভিযুক্ত জামাল বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার দিন দুপুরে আনুমানিক ১২টার দিকে অভিযুক্ত আনিছুর রহমান ও জামাল পূর্ব পরিকল্পনা করে একটা পরিত্যক্ত ঘরে বসে নেশা করে । তারপর দুজনেই জয়ন্তী চক্রবর্তীর বাসায় যায়। নীচতলার সানশেডে উঠে জামাল ডিসের লাইন খারাপ করে দেয় । ফলে জয়ন্তী টিভি দেখায় সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় অভিযুক্ত কেবল লাইনের লাইন ম্যান জামান হোসেন ও আনিছুর রহমান সেখানে যায় এবং জয়ন্তী দেবীকে চাবি উপর তলা থেকে নীচে ফেলতে বলে । জয়ন্তী চক্রবর্তী চাবি নিচে ফেললে প্রথমে আনিছ ও পরে জামাল বাসায় প্রবেশ করে।
ঘরে প্রবেশ করার পর দুজনে একে অন্যের সহায়তায় মুখ চেপে ধরে প্রথমে আনিছ ও পরে জামাল পালাক্রমে জয়ন্তীকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর জয়ন্তী হুমকি দেয়, এই ঘটনা প্রকাশ করে দেবেন । তখন ঘরে থাকা ধারালো চুরি দিয়ে জামাল জয়ন্তীর গলাকেটে হত্যা করে এবং আনিছুর রহমান জল দিয়ে রক্তমাখা ছুরিটি ধুয়ে ফেলে প্রমান নষ্টের চেষ্টা করে ।