গত বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল আগামী 26 ও 27 তারিখ দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে । আবহাওয়া দপ্তরের খবর মিথ্যা হয়নি । গতকালকেও ভালো বৃষ্টি হয়েছে ।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার । অনেকদিন পর এই বছর প্রকৃত বর্ষাকালের চেহারা দেখতে পাচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গবাসী । আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় একদিকে উত্তরবঙ্গ বন্যায় বানভাসি, অপরদিকে খরার কবলে দক্ষিণবঙ্গ । অবশেষে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তৈরি হওয়া নিম্নচাপের ফলে 26 ও 27 তারিখ কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কম বেশি বৃষ্টি হবে ।
এই বছর 15 ই জুলাই আমন ধানের চাষের শুরু হওয়ার কথা ছিল । আমন ধান চাষ মূলত বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে । কিন্তু এই বছর পশ্চিমবাংলার ধানের গোলা ‘বর্ধমান’ এ বৃষ্টির পরিমাণ এত কম যে, চাষীরা চাষের কাজ ফেলে দিয়ে জমিতে বসেই উদাস দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকছে । প্রচন্ড খরার কবলে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গ ।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী 48 ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি । আর এই সময় উত্তরবঙ্গে ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে। শুক্র-শনি-রবিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমবে। তবে সোমবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলেই জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবীদরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে নিম্নচাপের প্রভাব কমতে থাকবে। ফলে কমবে বৃষ্টি।
এই অবস্থায় নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র অশান্ত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। এই সময় যাঁরা সমুদ্রে আছেন, তাঁদেরও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, যেসব মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে আছেন, তাঁরা যেন শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে ফিরে আসেন।