বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে। প্রতিবেশী দেশ গুলি থেকে অত্যাচারিত ভিন্ন ধর্মীয় মানুষগুলিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখা গিয়েছিলো তীব্র মতবিরোধ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সবচেয়ে বেশী সরব হয়েছিলেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেছিলেন যে, প্রতিবেশী রাস্ত্রগুলিতে অর্থাৎ বাংলাদেশ, পাকিস্থান, আফগানিস্থানে যে সমস্ত মানুষদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় তাদের এই দেশে আসতে। তারা যদি এই দেশে আসেন তবে তাদের সাদরে গ্রহন করা হবে। ভারতের নাগরিকত্বও দেওয়া হবে। এই কারনেই তাদের হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন তিনি। নাগরিকত্ব বিল পাসের মূল লক্ষ্য হল হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিষ্টান এই কটি ধর্মের মানুষদের একত্রিত করা। কিন্তু দেশের অন্যান্য রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রীরা রাজি ছিলেন না। সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছিলেন যে অন্য দেশের আগতদের সব রাজ্যে নাগরিকত্ব দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও ভাবেই তাদের গ্রহণ করা হবেনা।
এই সমস্ত বাধা পেরিয়ে অবশেষে গতকাল মন্ত্রীসভায় পাশ হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। গতকাল মন্ত্রীসভা থেকে এই বিলে সীলমোহর দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যেই সমগ্র ভারতবর্ষে জাতীয় নাগরিকত্বের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত সমস্ত নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমস্ত মানুষদের মনে নানান ভুল ধারনা জন্মেছে। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে এবার দায়িত্ব সহকারে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রচার করা হবে। নাগরিকত্বের সমস্ত তথ্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে এই উদ্যোগ নিতে চলেছে বিজেপি।