বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমি দেশ’গুলির মতো শৃঙ্খলা মেনে ভারতীয়’দেরকে কোনদিনই চলতে দেখা যায়নি, এর একটি প্রকৃত এবং আদর্শ‌ উদাহরণ হল, হেলমেট না পড়ে রাস্তায় মোটরবাইক চালানো। নেহাত পুলিশের কড়াকড়ির কারণে বর্তমানে কিছু মানুষ হেলমেট এর ব্যবহার শুরু করলেও, তা সাময়িক। তাছাড়া, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইনের মার-প্যাঁচ থেকে বাঁচতে চালককে নিম্নমানের হেলমেট ব্যবহার করতেও দেখা যায়। আর একারণেই ভারতে মোটরবাইক অ্যাক্সি‌ডেন্ট এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সম্প্রতি এক কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় এই উদ্বেগের ছবি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জনপথ মন্ত্রক এবং একটি বেসরকারি সংস্থা মিলে যৌথভাবে সমীক্ষাটি চালায়।

সমীক্ষায় বিগত ২০১৭ সালের পথ দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবথেকে খারাপ অবস্থা দুই চাকাবিশিষ্ট গাড়ি’গুলির। জানা যাচ্ছে যে, ২০১৭ তে ৪৮,৭৪৬ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন শুধুমাত্র বাইক দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে ৭৩.৮ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হেলমেট এর অনুপস্থিতি। এর অর্থ, প্রতি ঘণ্টায় ৪ জন করে বাইক আরোহী হেলমেট না-পরার কারণে দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন।

সমীক্ষা বলছে, হেলমেট এর অভাবে দুর্ঘটনার একেবারে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু। সব ধরনের মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শীর্ষেও তামিলনাড়ু। বিগত ২০১৭ সালে শুধুমাত্র তামিলনাড়ু’তেই ২৫,৩৯৩ জন মানুষ বাইক দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ শতাংশের মাথায় দুর্ঘটনার সময় হেলমেট ছিল না।

আবার শতাংশের দিক দিয়ে হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে দুর্ঘটনাড় শীর্ষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এখানকার ৫২.৩৩ শতাংশ বাইক আরোহীর মাথায় দুর্ঘটনার সময় হেলমেট ছিল না বলেই তারা মারা গিয়েছেন বলে দাবি। অর্থাৎ প্রতি ২ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর একটি মোটরবাইক।

সমীক্ষা বলছে, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.